সংকটের তথ্য দিয়ে হিমাগার থেকে গোপনে আলু বিক্রি
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধার পাঁচটি কোল্ড স্টোরেজে এখনো আলু মজুত ১২ হাজার ২০৬ মেট্রিক টন। সরকারের নির্ধারিত মূল্য ফাঁকি দিয়ে অধিক মূল্যে কোল্ড স্টোর থেকে গোপনে বিক্রি হচ্ছে আলু। এদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মনিটরিং করলেও মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যত কোনো কাজই হচ্ছে না। গাইবান্ধা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জে মেসার্স হিমাদ্রী লিমিটেডে ২ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ড স্টোরেজ-০১ (বকচর)-এ ২ হাজার চারশ’ মেট্রিক টন, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ড স্টোরেজ-০২ (সূর্যগাড়ী) তে ৩ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন, সুন্দরগঞ্জের আশরাফ সিড স্টোর অ্যান্ড হিমাগারে ৯৩৬ মেট্রিক টন, সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট আরভি কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড এ ২ হাজার ১৬০ মে. টন আলু মজুত আছে। পাঁচটি কোল্ড স্টোরেজে মজুতকৃত বস্তার সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার। সরকারিভাবে ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজিতে আলু বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও এখনো প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গাইবান্ধার কোল্ড স্টোরেজগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু মজুত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে অধিক মূল্যে আলু বিক্রি করতে না পারে, এজন্য নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে, তারপরও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, চেষ্টা করা হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে আলু বিক্রির। তবে ভারতের আলু দেশের বাজারে এলে মূল্য অনেকটাই কমবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি বাজারে এসেছে, যার কারণে আলুর চাহিদাও কিছুটা কমেছে।