শুল্ক কমলেও বাড়ছে চিনির দাম
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমদানি শুল্ক কমানোর পরও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে চিনির দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক দিন বাজারে চিনির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। এদিকে মিলমালিকরা প্রতি কেজি চিনিতে ১০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, মিল মালিকেরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনির বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমদানি শুল্ক কমানোয় বাজারে চিনির মূল্য না কমে উল্টো পাইকারি পর্যায়ে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ৫ টাকা। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই খুচরা বাজারে চিনির দাম আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানির শুল্ক ৩ হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। আর পরিশোধিত চিনি ৬ হাজার থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই শুল্ক বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু সরকার-নির্ধারিত দামে কোথাও চিনি বিক্রি হয়নি। ডলারের ঊর্ধ্বগতি, সরবরাহ সংকট, পরিবহণ ভাড়া, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি- নানা অজুহাতে চিনির দাম বেড়েই চলেছে। বর্তমানে সরকার-নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা। প্যাকেটজাত চিনির গায়ে দাম লেখা থাকে বলে এখনো সেটি বাড়েনি। তবে খোলা চিনি খুচরা পর্যায়ে ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজধানীর বনশ্রী বি ব্লকের মেসার্স মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বলেন, তিনি প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সে তুলনায় দাম এখনো বাড়ানো হয়নি। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনি আমদানির শুল্ক কমানোর আগে বিক্রি হয়েছিল ১২৮ টাকা। গত তিন-চার দিনে দাম বেড়ে ১৩৩ টাকা হয়েছে।