১ লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি পেল ২৬৪ প্রতিষ্ঠান
এবার লবণ আমদানির অনুমতি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে নিত্যপণ্যের বাজার দীর্ঘদিন লাগামহীন অবস্থায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এর লাগাম টানতে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। ডিম ও আলুর পর এবার লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। সচিব জানান, প্রাকৃতিক কারণে লবণের উৎপাদন মৌসুম বিলম্বিত হচ্ছে। বাজারে যেন লবণের কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ১৫ দিন আগে থেকেই লবণের উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা। উৎপাদন কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এ কারণে মন্ত্রণালয় মনে করেছে যে, পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কিছু লবণ আমদানি করে রাখলে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পূর্ব সতর্কতা হিসেবেই এই অনুমোদন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যেহেতু এই মৌসুমে প্রাকৃতিক কারণে লবণ আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে সেজন্যই পূর্ব সতর্কতা হিসেবে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিব জানান, গত বছর সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল বলেই কিন্তু কোরবানির ঈদের সময়ও আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তখন যথেষ্ট লবণ ছিল। ডিম আমদানির বিষয়ে তপন কান্তি জানান, ডিম আমদানিতে দেরির কারণ বার্ড ফ্লু পরীক্ষা। ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। এখন ডিম আসতে থাকবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, দেশে লবণের চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টন। ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবার রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ২২ লাখ মেট্রিক টন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমদানি করতে হচ্ছে। এজন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিব বলেন, ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। দেরির কারণ বার্ড ফ্লু পরীক্ষা। সেই সমস্যা মিটেছে। এখন ডিম আসতে থাকবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি পিস আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে লবণের উৎপাদন মৌসুম বিলম্বিত হচ্ছে। বাজারে যাতে কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিনিয়র সচিব। ‘গত ১৫ দিন আগে থেকেই এটার সৃজন (উৎপাদন) শুরু হওয়ার কথা, তো এটা একটু পিছিয়ে গেছে বলেই শিল্প মন্ত্রণালয় হয়তো মনে করেছেন যে কিছু লবণ আমদানি দিয়ে রাখলে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে যাতে লবণের কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য এটা (অনুমতি) দিয়েছেন।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত বছর সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল বলেই কিন্তু কোরবানির ঈদের সময়ও আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি, যথেষ্ট লবণ ছিল। কিন্তু যেহেতু এই উৎপাদন মৌসুমে প্রাকৃতিক কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ততায় বিলম্বিত হচ্ছে লবণ আসতে সেজন্যই এটা একটা পূর্ব সতর্কতা হিসেবে দেওয়া হয়েছে, যাতে বাজারে কোনো ঘাটতি না হয়।’