নিজের নির্বাচনি এলাকা রংপুরে নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে ও চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির প্রথম সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমার এলাকা আলুভিত্তিক, কৃষিভিত্তিক। তাদের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে। চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে।’ আপনাকে তো এলাকায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে, ভোটাররা যদি দ্রব্যমূল নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করে, তাহলে কী বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার এলাকার মানুষের কষ্ট নেই। কারণ, তারা আলুর ভালো দাম পাচ্ছে। আমাদের তো কৃষিভিত্তিক এলাকা। একটা এলাকা একেক রকম। ঢাকা শহরে যে নির্বাচন করবে, তার অনেক সমস্যা। ২০০১ সালে এলাকায় মোটরসাইকেল ছিল ১০টি। আজ সেখানে হাজার হাজার মোটরসাইকেল।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এই বাজারে শহরের দিনমজুর ও নিম্নশ্রেণির মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুব ভালো জানি, আমার এলাকায় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের দিনমজুর ও নিম্ন শ্রেণির মানুষদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’ তবে নির্বাচনে এর প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সামনে নির্বাচন। কাজেই এটিকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, এই প্রভাব কাটানো কি সম্ভব হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ইতিবাচক হলেই এই প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে এটা হয়েছে। কাজেই এটিকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। এটা নির্ভর করে আপনারা কতটুকু ইতিবাচক হবেন, তার ওপর।’
গতকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর শ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠনের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার নতুন করে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘কেউ না কেউ খুশি হবেন, কেউ অখুশি হবেন। যারা খুশি না, তারা ২০ হাজার টাকা বেতন পেলে খুশি হতেন। দুই পক্ষেরই রক্ষা হয়। সেখানে ১০০ ভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না।’