চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
৪৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে টোল প্লাজা ও র্যাম্প নির্মাণ
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টোল প্লাজা এবং ১২টি র্যাম্প নির্মাণের পূর্ত কাজ ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭ টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এই ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরে সভায় টেবিলে তিনটি প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। তিনটি প্রস্তাবই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় টোল প্লাজা এবং ১২টি র্যাম্প নির্মাণের পূর্ত কাজ ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক ও নয়াপাড়া-আড়াইহাজার-নরসিংদী-রায়পুরা দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর- ডব্লিউপি-০২ এর পূর্ত কাজ যৌথভাবে তাহের ব্রাদার্স এবং ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কাছ থেকে ৩০২ কোটি ৮০ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক ও নয়াপাড়া-আড়াইহাজার-নরসিংদী-রায়পুরা দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর- ডব্লিউপি-০৩ এর পূর্ত কাজ রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ২৪৯ কোটি ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৩ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সভায় নির্ধারিত এজেন্ডার মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ১১তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কাছ থেকে ১২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৪৬ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৫২ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ (বসুরহাট) দাগনভূঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-পিডব্লিউ-০১ এর পূর্ত কাজ যৌথভাবে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড এবং এমএস শাহ আহমেদের কাছ থেকে ১১২ কোটি ৮২ লাখ ১১ হাজার ৭০১ টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ (বসুরহাট)-দাগনভূঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর- পিডব্লিউ-০২ এর পূর্ত কাজ যৌথভাবে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড, এমএস শাহ আহমেদ এবং মোস্তফা জামান ট্রেডার্সের কাছ থেকে ১০৮ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ১৯০ টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।