পোশাক খাতে মৃত্যুবরণকারী তিন শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এ খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। গতকাল শনিবার বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুবরণকারী আঞ্জুয়ারা খাতুন, রাসেল হাওলাদার ও মো. ইমরানের পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তার চেকগুলো তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, পরিচালক ইনামুল হক খান (বাবলু) এবং পরিচালক হারুন অর রশীদ। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পকে আজকের সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে আসার পেছনে লাখো পোশাক শ্রমিকের অমূল্য অবদান রয়েছে। তিনি বলেন, শিল্প ও শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক। শিল্প ভালো থাকলে শ্রমিক ভালো থাকবে। শ্রমিক ও উদ্যোক্তা মিলে একসঙ্গে শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। এদিকে পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের অস্থিরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা নতুন নিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি যেসব কারখানায় ভাঙচুর করা হয়েছে, সেখানকার শ্রমিকদের নাম উল্লেখ করে নিকটবর্তী থানায় মামলা অথবা নাম না পাওয়া গেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার নির্দেশ দেন। তারা বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানাগুলোকে মামলা দায়েরের আগে ভিডিও ফুটেজ থেকে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের ছবি সংগ্রহ করতেও বলেন। শ্রমিকরা কর্মস্থলে না থাকলে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা মেনে মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দেবেন।