তিন মাসে দেওয়া হয়েছে ৮৭ কোটি ডলার
দেনা পরিশোধের চাপ বাড়ছে
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈদেশিক দেনা শোধের চাপে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে পরিশোধ করা হয়েছে ৮৭ কোটি ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে) প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। কিন্তু গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ৫২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ৭৮১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিশোধ বেড়েছে ৩৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা প্রায় ৩ হাজার ৭৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এমনকি আগের মাসের তুলানায় পরের মাসে বাড়ছে দেনা শোধের পরিমাণ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার সুদ ও আসল মিলিয়ে পরিশোধ করা হয় ৮৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসাবে ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ এবং আসল ৪৯ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের এই ৩ মাসে ঋণ পরিশোধে যে অর্থ দেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে সুদ ১৩ কোটি ৭০ লাখ এবং আসল ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তুলনামূলক সুদ পরিশোধের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। এছাড়া বৈশ্বিক এবং দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের গতি বৃদ্ধি কিংবা রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হবে কি না, সন্দেহ আছে। সবকিছু মিলিয়ে বৈদেশিক অর্থ ব্যবস্থাপনায় বড় চাপ আসতে পারে। এজন্য স্বল্প মেয়াদে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব কারণে হুন্ডি বেশি আকর্ষণীয়, সেসব কারণ খুঁজে বের করে বৈধপথে রেমিট্যান্স আনা বাড়াতে হবে। এককথায় বলা যায়, বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে স্বল্পমেয়াদে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের গতি কম থাকাসহ নানা কারণে কমছে বৈদেশিক অর্থ পাওয়ার পরিমাণ। চলতি অর্থবছরের গত ৩ মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এরই মধ্যে ঋণ ১২৩ কোটি ১২ লাখ এবং অনুদান ৫ কোটি ৫ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ১৩৪ কোটি ৯২ লাখ ডলার। এরই মধ্যে ঋণ ১২৯ কোটি ৮০ লাখ এবং অনুদান হিসাবে ছাড় হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ ডলার।