আয়করসেবা মাস

রিটার্ন জমায় এগিয়ে চাকরিজীবীরা

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিবছরের মতো এবারও শুরু হয়েছে আয়করসেবা মাস। কর জমা দেওয়া সহজ করতে ২০২৩ সালে নতুন রিটার্ন ফরম নিয়ে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু করদাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ফরম আগের চেয়ে সহজ তো হয়নি, বরং জটিল হয়েছে।সম্প্রতি রাজধানীর কয়েকটি কর অঞ্চলে সরেজমিনে দেখা যায়, কিছুটা ঢিলেঢালাভাবেই সময় পার করছেন বুথে বসা কর্মকর্তারা।যাঁরা আয়কর জমা দিতে যাচ্ছেন, স্বল্প সময়েই সব কাজ শেষ করতে পারছেন। ধরতে হয়নি কোনো লাইন। তবে অঞ্চলভেদে করদাতাদের উপস্থিতির ভিন্নতা দেখা গেছে। মাসের শুরুতে করদাতাদের খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।স্বল্প সংখ্যায় লোকজন আসছেন কর দিতে। কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুর দিকে লোকজন কম থাকেন, তবে ১৫ নভেম্বরের পর বাড়বে। রমনার সেগুনবাগিচায় একসঙ্গে রয়েছে কর অঞ্চল ১, ৭, ৮ ও ১১। জানা গেছে, সারা দেশে ৩১টি কর অঞ্চলে সার্কেল রয়েছে ৬০০টিরও বেশি। গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু করে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করা যাবে। এবার এক পেজের ফরমে অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন জমা দেওয়া যাচ্ছে। তবে সব করদাতাই অনলাইনে দিতে পারবেন না। যাঁদের ৪০ লাখ টাকার মধ্যে সম্পদ ও পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে যাঁদের বার্ষিক আয়, শুধু তাঁরাই ঘরে বসে এক পাতার ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। বাকি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্য করদাতাদের কর অঞ্চলে গিয়ে রিটার্ন জমা দিতে হবে।সম্প্রতি এনবিআর থেকে জানানো হয়, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত করদাতা শনাক্তকারী নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা ৯০ লাখ তিন হাজার ২০৬ জন। সেপ্টেম্বরে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৯ জনে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার। এই অর্থবছরে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৮ জন। আর ২০২২-২৩ সালে সেটি হয়েছিল ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬৩ জন। এখন চলতি অর্থবছরে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চার লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৯ জনের রিটার্ন জমা হয়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের সঙ্গে তুলনা করলে ২৯ শতাংশ গ্রোথ বেশি হয়েছে। এর সঙ্গে অনলাইনে ২০২১-২২ সালে অনলাইনে রিটার্ন জমা হয়েছিল ৬১ হাজার ২০৩ জনের, ২০২২-২৩ অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন দুই লাখ ৪৪ হাজার ৮৮১ জন। চলতি অর্থবছরে অনলাইনে জমা হয়েছে ২৭ হাজার ৬১২ জনের। একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউনট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন মো. নাসির উদ্দিন। মগবাজার থেকে এসেছেন কর দিতে। তিনি বলেন, ‘রিটার্ন জমা দেওয়া গতবারের মতোই আছে। সহজ কোনো পদ্ধতিই নেই। নতুন ফরম যেটা দিয়েছে, সেটা আগের চেয়ে কঠিন হয়েছে। বুথ থেকে নতুন ফরম খুব একটা দিচ্ছে না।পুরনোটাই চলছে। অনলাইনে জমা দিতে কিছু জটিলতা আছে। ওখানে উেস করগুলো ভেরিফায়েড করতে সমস্যা হচ্ছে।’