ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কারণ ছাড়াই বাড়ছে চিনির দাম

কারণ ছাড়াই বাড়ছে চিনির দাম

দাম নাগালে রাখতে সরকার চিনির আমদানি শুল্ক অর্ধেক করলেও তা কাজে আসেনি। বরং ডলারের অস্বাভাবিক দরের কারণে হু হু করে বাড়ছে পণ্যটির দাম। দুই সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা। সরবরাহে টান পড়ায় বাড়তি টাকা দিয়েও দোকানে মিলছে না খোলা চিনি। চার দিন ধরে উধাও প্যাকেটজাত চিনি। চিনির সরবরাহ এবং দাম নিয়ে ভিন্ন যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন খুচরা, পাইকারি ও আমদানিকারকরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৮ থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এরই প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মিলগেট থেকেই তাদের ১৩৭ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ যুক্ত হওয়ায় বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য, ডলারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে। শতভাগ মার্জিন দিয়েও ব্যাংকে এলসি খোলা যাচ্ছে না। আবার আন্তর্জাতিক বাজারেও চড়া চিনির দর। গ্যাসের চাপ কম থাকায় কারখানায় ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। দুটি কোম্পানির কারখানায় চিনি উৎপাদন প্রায় বন্ধ। সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম সমন্বয় করার আহ্বান জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

তবে বাস্তবতা হলো, নিত্যপণ্য হিসেবে সরকার ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো যতবার চিনির দর নির্ধারণ করেছে, তা একবারও কার্যকর হয়নি। মিল থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায়ে যে যার মতো দাম বাড়িয়েছে। প্রায় তিন মাস আগে খোলা চিনির কেজি ১৩০ ও প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাজারে কোথাও এ দামে চিনি মেলেনি। ১০ থেকে ১২ দিন আগেও খোলা চিনি ১৩০ ও প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে গতকাল সোমবার রাজধানীর মালিবাগ, মহাখালী ও কারওয়ানবাজারে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে খোলা চিনির কেজি ১৫০ টাকা। অবশ্য আগে কেনা এমন দুয়েক জায়গায় ১৪৫ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। আবার চিনি সব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত