ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন

ব্যাংকে ফিরছে হাতের টাকা

ব্যাংকে ফিরছে হাতের টাকা

মানুষের হাতে টাকা রাখার প্রবণতা কমছে। ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চেয়ে জমা হচ্ছে বেশি। টানা ৩ মাস ধরে ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে নগদ টাকার চলাচল কমছে। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের অঙ্ক ছিল ৩ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। সেপ্টেম্বরে তা কমে আড়াই লাখ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংক খাতের ওপর গ্রাহকের আস্থা সংকট ও মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকার অঙ্ক বেড়েছিল। তবে সুদ হারের সীমা তুলে দেওয়ার পর ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার বাড়িয়েছে। তাই এখন ব্যাংকে টাকা ফিরছে। আবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিনিয়োগে ধীরগতি থাকায় মানুষ হাতে রাখা টাকা ব্যাংকে ফিরছে। তাই ধারাবাহিকভাবে ব্যাংকের বাইরের নগদ অর্থ কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৯ কোটি নগদ টাকা ব্যাংকের বাইরে ছিল। হঠাৎ করেই ১ মাসে ৩৬ হাজার ৪৮ কোটি টাকা বেড়ে জুন শেষে ২ লাখ ৯১ হাজার ৯১৩ কোটি টাকায় উঠে যায়। তবে জুনের পর থেকে তা আবার কমতে শুরু করে। জুলাইয়ে কমে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা হয়। আগস্টে আরো কমে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫৬ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩ মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকা কমেছে ৩৮ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা তলানিতে নেমে যায়। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নিতে থাকেন গ্রাহকরা। আবার সে সময় ব্যাংকে নতুন আমানত আসাও কমে যায়। এতে ব্যাংক খাত তারল্য সংকটে পড়ে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চমূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। আবার মূল্যস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে সেভাবে ব্যাংকে আমানতের সুদহার বাড়েনি। যার কারণে গত বছরের নভেম্বর থেকে মানুষের হাতে নগদ টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত