দেশের অর্থনীতিতে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বিদেশে। ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন- এমন পরিস্থিতি রপ্তানি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কমতে পারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও। সহিংসতা বাদ দিয়ে তাই সব পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় অবস্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। অন্যদিকে নির্দলীয় সরকার ফেরাতে আন্দোলন করছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজপথে ফিরেছে জ্বালাওপোড়াও পরিস্থিতি। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বিএনপির ডাকা তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি। প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোটের অনিশ্চতায় রপ্তানিমুখী পণ্যের অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে বলে জানান তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা।
ডলার সংকট, জ্বালানি স্বল্পতা, উচ্চ মূল্যস্ফিতীসহ নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি। উদ্যোক্তারা জানান, রাজনৈতিক সহিংসতা বেসরকারি বিনিয়োগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনীতি যদি দেশের কল্যাণে হয়, তবে অর্থনীতি বাঁচাতে সব পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে।