বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজ করতে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। এজন্য বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজ করতে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল সোমবার অর্থ বিভাগের অধীনস্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। এ স্কিমের অধীনে ২ হাজার, ৩ হাজার, ৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জমার চারটি অপশন আছে। যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর দেশের বিভিন্ন ধরনের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরটি হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে। এরই মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার বাংলাদেশি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে। সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ। এর আগে, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর যে চারটি স্কিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেগুলো হলো- প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি (বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য), সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য) এবং সমতা (স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য)। দেশের নাগরিকদের জন্য চালু হওয়া বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) তিন মাস পেরিয়ে গেছে। গত ১৭ আগস্ট পেনশন স্কিম উদ্বোধন করা হয়েছিল। গত শনিবার পর্যন্ত কিস্তির টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন নিয়েছেন ১৫ হাজার ৯০৫ জন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে গ্রাহকের মোট চাঁদা জমা পড়েছে প্রায় ১৬ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত ১৭ আগস্ট এ স্কিম উদ্বোধনের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম এক মাসে চাঁদা পরিশোধ করেছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন।