ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১০ বছরে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৬ গুণ

১০ বছরে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৬ গুণ

দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে বেড়েই চলেছে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের পরিমাণ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৮ মিলিয়ন ডালার। আর ২০২০ সালে তা ছিল ১০ হাজার ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের মাথায় এই স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে আট হাজার মিলিয়ন ডলার। আর গত ১০ বছরের হিসাবে এই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় গুণের বেশি। ২০১০ সালে সরকারের স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯৪৭ মিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকটাডের ‘দ্য লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ রিপোর্ট ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মূলত আংকটাড এলডিসিভুক্ত ৪৬টি দেশের অর্থনৈতিক সূচক, লেনদেনের ভারসাম্য নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। তাদের ওই প্রতিবেদন বলেছে, শুধু স্বল্পমেয়াদি ঋণ নয়, এর পাশাপাশি বেড়েছে বিদেশি ঋণের পরিমাণও। গত কয়েক বছরে দ্রুত বেড়েছে এই ঋণের পরিমাণ। এতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতেও দ্রুত বাড়ছে বিদেশি ঋণ। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই বিদেশি ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় সুদ ও আসল উভয় পরিশোধের চাপও বাড়ছে। আর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে (এলডিসি) বাংলাদেশের সরকারি ও সরকারের (সভরেন) গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ সবচেয়ে বেশি। এলডিসিভুক্ত ৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কাছাকাছি কেউ নেই। প্রতিবছর এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা মূল্যায়ন করে আংকটাড। গতকাল এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে এলডিসিভুক্ত ৪৬টি দেশের ২০২১ সাল শেষে সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণের চিত্র এবং এসংক্রান্ত বিভিন্ন বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। আংকটাডের প্রতিবেদন বলেছে, ২০২১ সাল শেষে বাংলাদেশের সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ দাঁডিয়েছে ৬২.৪২৫ বিলিয়ন ডলারে, ২০২০ সাল শেষে যা ছিল ৫৪.৭৮৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বাংলাদেশের সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৭.৬৩৮ বিলিয়ন ডলার বা ১৩.৯৪ শতাংশ। সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ বাড়ার হার ২০২১ সালেই ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ ছিল ৪৬.৩৭৬ বিলিয়ন ডলার। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ অ্যাঙ্গোলার। দেশটির ঋণের পরিমাণ ৪৬.৭৪ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইথিওপিয়ার এই ঋণের পরিমাণ ২৮.১৭১ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ অবস্থানে থাকা তানজানিয়ার সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ ১৮.৯১৭ বিলিয়ন ডলার ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা সুদানের ১৫.৩০৫ বিলিয়ন ডলার। এলডিসিভুক্ত অন্য দেশগুলোর এ ধরনের ঋণ আরো কম। আংকটাডের তথ্য মতে, জিডিপির তুলনায়ও বাংলাদেশের সরকারি ও সভরেন গ্যারান্টিযুক্ত বিদেশি ঋণ সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের এ ধরনের ঋণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির ১৮.৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত