ডলারের দাম আরো কমবে
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
গত বুধবার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে ডলারের দাম আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাফেদা ও এবিবি। আমদানি কমে যাওয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমে গেছে উল্লেখ বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সামনে ডলারের দাম কমতে পারে। ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি), তার প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের আমদানি কমে যাওয়ায় ডলার চাহিদা কমে গেছে, ফলে বুধবার ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইন্টারেস্ট কমানোর চিন্তা করছে। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের ফরেন দায় কমে আসলে ডলারের দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাসে আমরা চাহিদাটা যথাযথভাবে মনিটরিং করছি। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় আমদানি ও সেবা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। আমাদের দেশের কারেন্ট অ্যাকউন্টে ব্যালেন্স সারপ্লাস রয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট নেগেটিভ থাকলেও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কারণ আমাদের ইম্পোর্ট কমে আসছে অন্যদিকে ফরেন লোন পরিশোধও কমে আসছে।’ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আমাদের ডলারের চাহিদা কমবে। বেশিরভাগ ঋণপত্র (এলসি) এখন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে, বলেন তিনি। মুখপাত্র বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ হয় বাজারের চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রার সুদের হার কমানোর যে সাম্প্রতিক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা বৈদেশিক মুদ্রার দাম কমানোয় অবদান রাখতে পারে। এছাড়া, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের ক্রমেই স্বাভাবিকীকরণ বৈদেশিক মুদ্রার দামের উপর আরো নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ ২০২২ সালে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার।