হরতাল-অবরোধের কারণে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বাজার খাতুনগঞ্জে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ কমেছে।
আগে যেখানে প্রতিদিন বাজারে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকত, সেখানে এখন দিনে পাঁচ থেকে সাতটি ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে আসছে। আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বিশেষ করে যেসব পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়, ওইসব পণ্যের সরবরাহ এখন অনেক কম। একই কারণে বেচাকেনাও কম। আড়তদাররা জানিয়েছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে দূরবর্তী এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা খাতুনগঞ্জে কম আসছেন। যে কারণে এখন খাতুনগঞ্জে বেচাকেনাও কম। হরতাল-অবরোধের কারণে এখন আগের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেচাকেনা কমেছে। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডাল, চাল, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের অন্তত ৩০০০ থেকে ৩৫০০ আড়ত আছে। এসব আড়তে গড়ে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা বেচাকেনা হয়। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে সেই বেচাকেনা ঠেকেছে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে। স্বাভাবিক সময়ে একটি প্রাইম মুভার (কনটেইনার পরিবহণের গাড়ি) থেকে মাসে গড়ে আয় হতো ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে এখন আয় কমেছে।
প্রাইম মুভার মালিকরা জানিয়েছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে গাড়িপ্রতি এখন মাসে আয় কমেছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। তবে এ সময় গাড়ি চালালেও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকায় ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাসে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। যে কারণে এখন ভাড়াও কমছে। হরতাল-অবরোধের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে পুরো পরিবহণ খাত। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য খাতে। পরিবহণ কম চলাচল করায় বাজারে সরবরাহ কমেছে খাদ্যপণ্যের। স্থবিরতা বিরাজ করছে দেশের পর্যটন শিল্পে। বেচাকেনা কমেছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে।