শেষ প্রান্তিকে বেড়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনৈতিক সংকট যে দেশের প্রতিটি নাগরিকের দৈনন্দিন কার্যক্রমের গতি কমিয়ে দিচ্ছে, সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সরকারি হিসাবেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে দেশের আর্থিক খাতের দুর্বল অবস্থা উন্মোচিত হতে শুরু করে। গবেষণা পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, ডলার সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, শিল্প খাতের উৎপাদন কমে যাওয়াসহ নানা কারণে সাধারণ মানুষের আর্থিক কার্যক্রম কমে গেছে। ফলে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। গত ৩১ মাসের মধ্যে এই প্রবাহ ২ অঙ্কের নিচে নামার রেকর্ড গড়েছে। সরকারি হিসাবে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আর্থিক কার্যক্রমের প্রবৃদ্ধি শূন্য ছিল বছরজুড়েই। চলতি বছর এই প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় না গেলেও এর আগের অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে আর্থিক কার্যক্রম ছিল ঋণাত্মক ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মোট দেশজ উৎপাদনের চার প্রান্তিকের সাময়িক হিসাবে এ চিত্র উঠে এসেছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ডলার সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও চাহিদার সংকটের কারণে দেশের উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ফলে মানুষের লেনদেন খানিকটা কমে এসেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেখা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে আর্থিক ও ইনস্যুরেন্স কার্যক্রমের প্রবৃদ্ধি ছিল শূন্য। পুরো বছরেও দেশের আর্থিক কার্যক্রম ১ শতাংশও হয়নি। অথচ আগের অর্থবছরের চার প্রান্তিকে কোনো না কোনোভাবে দেশের আর্থিক খাত ও ইনস্যুরেন্স খাতের প্রবৃদ্ধি সচল ছিল। অবশ্য ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে এসে আর্থিক কার্যক্রম ছিল ঋণাত্মক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সংস্কার প্রস্তাবকে আমলে নিয়ে গড় জিডিপির ত্রৈমাসিক হিসাব প্রকাশ করেছে বিবিএস। এতে দেখা যায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ তিন মাসের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য পুরো বছরের গড় হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। সর্বশেষ ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতাও দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।