ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বেড়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ

শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বেড়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য মতে, ২০২২ সালে শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লাখ, যা ১৯৮১ সালে ছিল ১ কোটি ৪১ লাখ। দেশে ৪০ বছরে শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বেড়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিজস্ব কার্যালয়ে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর ‘ন্যাশনাল রিপোর্ট’ প্রকাশনাবিষয়ক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ। মূল রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ এর প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন ও উন্মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন বিবিএসের যুগ্ম সচিব ড. দিপংকর রায়। উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মো. দিলদার হোসেন জানান, ১৯৮১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৯৯ লাখ। সেখানে পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারীর সংখ্যা ৭ কোটি ৫৮ লাখ ও শহরাঞ্চলে ১ কোটি ৪১ লাখ। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ। সেখানে পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী ৮ কোটি ৯০ লাখ ও শহরাঞ্চলের ২ কোটি ২৫ লাখ। ২০০১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৫ লাখ। সেখানে পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী ৯ কোটি ৯৪ লাখ ও শহরাঞ্চলে ৩ কোটি ১১ লাখ। ২০১১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯৮ লাখ। সেখানে পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী ১১ কোটি ৪৭ লাখ ও শহরাঞ্চলে ৩ কোটি ৫১ লাখ। ২০২২ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেখানে পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী ১১ কোটি ৬১ লাখ ও শহরাঞ্চলের ৫ কোটি ৩৭ লাখ। আর দেশের প্রথম আদম শুমারিতে মোট জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৬৪ লাখ। প্রতিবেদনে মো. দিলদার হোসেন বলেন, এর মধ্যে পল্লী অঞ্চলে বাস করে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ আর শহরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত