ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব আছে ৩ কোটি মানুষের

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব আছে ৩ কোটি মানুষের

দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক, বিমা, ক্ষুদ্রঋণ ও ডাকঘরে মোট হিসাব রয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮টি, যা মোট জনসংখ্যার ২৫.৩৫ শতাংশ। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবের মধ্যে পুরুষের হিসাব রয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৪টি আর নারীর হিসাব রয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার ৪০২টি। আর হিজড়া জনগোষ্ঠী থেকে ব্যাংক হিসাব রয়েছে ১ হাজার ৩১৮ জনের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।

মূলত বিবিএস জনশুমারির আগের ১২ মাসে যেসব হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করেছে তাদের তালিকাভুক্ত করেছে। বিবিএসরে হিসাব বলেছে, দেশের মোট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাবধারীদের মধ্যে ৩১.০৭ শতাংশ হচ্ছে পুরুষ এবং ১৯.৯২ শতাংশ নারী। এর মধ্যে গ্রামে রয়েছে হিসাবধারীদের ২২.৫১ শতাংশ আর শহরে রয়েছে ৩১.২৬ শতাংশ।

বিভাগওয়ারি হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগের মানুষের। এই বিভাগের ২৮.১৭ শতাংশের মানুষের হিসাব রয়েছে। এর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের অবস্থান। এই বিভাগের ২৬.৩৮ শতাংশ মানুষের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। এই বিভাগের ২৭.১০ শতাংশ মানুষের ব্যাংক হিসাব রয়েছে। আর সবচেয়ে কম ১৭.৭০ শতাংশ ব্যাংক হিসাব রয়েছে সিলেট বিভাগের মানুষের।আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশে ৩৯.১১ শতাংশ ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সি মানুষের রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট। এর মধ্যে পুরুষ অ্যাকাউন্টধারীদের হার ৫২.৩৩ শতাংশ এবং নারী অ্যাকাউন্টধারীদের হার ২৬.৫৭ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুসারে দেশের ৬৯.৯৩ শতাংশ মানুষের নিজস্ব মোবাইল ফোন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে পুরুষরা। দেশের ৮৪.১৬ শতাংশ পুরুষের নিজস্ব মোবাইল ফোন রয়েছে, যেখানে নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে ৫৬.৪৩ শতাংশ নারীর। পাশাপাশি দেশের ৩৬.৯২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রেও এগিয়ে পুরুষরা। ৪৬.৫৮ শতাংশ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, যেখানে নারী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ২৭.৭৭ শতাংশ। দেশজুড়ে ষষ্ঠ জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন। একই বছরের ২৭ জুলাই শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গত মঙ্গলবার ৫১৯ পৃষ্ঠার জাতীয় প্রতিবেদন (ভলিউম ১) প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত