ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চলতি বছর বিদেশ গেছেন ১২ লাখ ৪ হাজার কর্মী

জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশের রেকর্ড

জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশের রেকর্ড

জনশক্তি রপ্তানিতে বড় এক মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশটি যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি করেছে তা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখ ৪ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার। এ বছর শ্রম অভিবাসনের একটি ইতিবাচক দিক হলো মধ্যপ্রাচ্যের প্রচলিত বাজারগুলোর পরিবর্তে ইতালি এবং যুক্তরাজ্যের মতো অপ্রচলিত গন্তব্যে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী পাঠানো। যদিও এক্ষেত্রে উদ্বেগ রয়েই গেছে। কারণ অসংখ্য কর্মী প্রধানত ওমান, সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ায় ভুয়া চাকরির প্রলোভনে পড়ে সঠিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো- বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সত্ত্বেও সেই হারে প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বাড়েনি। গত ২ অর্থবছর ধরে রেমিট্যান্স মাত্র ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচেই স্থবির হয়ে আছে। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং ব্যাংকাররা এই অসমতার জন্য তিনটি প্রাথমিক কারণকে দায়ী করেছেন।

এগুলো হলো- স্বল্প-দক্ষ পেশার ব্যাপকতা, অর্থ স্থানান্তরের জন্য অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার (হুন্ডি) এবং আর্থিক লাভের জন্য বিদেশি নিয়োগদাতার ভুয়া চাকরির প্রস্তাব এনে অদক্ষ শ্রমিকদের কাছ থেকে দেশের কিছু রিক্রুটারের অর্থ নেওয়ার ঘটনা। বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো- চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় খুলে দেওয়া।

দেশটি উৎপাদন, নির্মাণ, পরিষেবা, কৃষি, খনি ও গৃহস্থালীসহ বিভিন্ন খাতে এ বছর ৩ লাখ ২৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে সৌদি আরবের পরেই এখন মালয়েশিয়ার অবস্থান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। এছাড়াও সৌদি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিক বা কর্মীদের জন্য কোটা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করাও গত ২ বছর ধরে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এ বছর বিশেষ করে কৃষি, আতিথেয়তা এবং উৎপাদন খাতে ১৬ হাজার ২৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। একক বছরের হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ। যুক্তরাজ্য সেবা, গৃহকর্মী ও আতিথেয়তা খাতে রেকর্ড ৯ হাজার ৪২৭ জন নিয়োগ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরও এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগকারীরা এ কথা স্বীকার করেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশে যেতে না পারা শ্রমিকরা পরবর্তী বছরগুলোতে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।

জনশক্তি রপ্তানি খাতের এই সাফল্যের পেছনে ভুয়া চাকরির প্রলোভনের অভিযোগও নেহাত কম নয়। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনা-পরবর্তীকালে বিদেশে গিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্তাবলী পূরণ না করায় এক থেকে ১৬ মাসের মধ্যে ৩৫ শতাংশেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। শ্রম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রিক্রুটিং এজেন্সি ও বিদেশি নিয়োগদাতারা অনেক কর্মীকে মধ্যপ্রাচ্যে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে থাকে। যে কারণে এখন অন্য দেশগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। খাত সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ওমানের সম্প্রতি নতুন ভিসা স্থগিতাদেশে উদ্বেগ বেড়েছে। কর্মীরা চাকরি হারাচ্ছে, মধ্যস্থতাকারীর দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে এবং কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য সেবা, গৃহকর্মী ও আতিথেয়তা খাতে রেকর্ড ৯ হাজার ৪২৭ জন নিয়োগ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরও এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগকারীরা এ কথা স্বীকার করেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশে যেতে না পারা শ্রমিকরা-পরবর্তী বছরগুলোতে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানি খাতের এই সাফল্যের পেছনে ভুয়া চাকরির প্রলোভনের অভিযোগও নেহাত কম নয়।

রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনা-পরবর্তীকালে বিদেশে গিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্তাবলী পূরণ না করায় ১ থেকে ১৬ মাসের মধ্যে ৩৫ শতাংশেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। শ্রম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রিক্রুটিং এজেন্সি ও বিদেশি নিয়োগদাতারা অনেক কর্মীকে মধ্যপ্রাচ্যে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে থাকে।

যে কারণে এখন অন্য দেশগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। খাত সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ওমানের সম্প্রতি নতুন ভিসা স্থগিতাদেশে উদ্বেগ বেড়েছে। কর্মীরা চাকরি হারাচ্ছে, মধ্যস্থতাকারীর দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে এবং কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত