বৈশ্বিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায নবায়নযোগ্য পাঁচ বিদ্যুৎ প্রকল্প
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম। তারপর বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয় বাংলাদেশে। এই অবস্থায়, আগামীতে দাম বাড়ার এই চাপ মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির কারণে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে মোট ৭০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাঁচটি নতুন প্রকল্প প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চলতি বছরে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি সক্ষমতার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন ও স্বাক্ষর হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে- ডেনমার্কের ১৩০ কোটি ডলারের অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রস্তাব। অক্টোবরে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর অনুমোদন দেয় সরকার। বিদ্যমান প্রকল্পের পাশাপাশি অনুমোদিত ও পর্যালোচনার অধীন থাকা এসব প্রকল্পে থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট সক্ষমতা হবে ২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ৯টি প্রকল্প থেকে ১ হাজার ২৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার ট্যারিফ অনুমোদন করেছে সরকার। জাপান, চীন, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব প্রকল্পের বিনিয়োগ আসছে। গত ১ ডিসেম্বর অনুমোদিত সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ে ১০ সেন্ট (০.১০ ডলার) বা ১১ টাকা পয়সা হারে ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বর্তমানে একটি ১০০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং চারটি ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। স্থানীয় কোম্পানিগুলো হংকং, ভিয়েতনাম ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এসব প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এক মেগাওয়াট সমান হলো- ১০ লাখ ওয়াট বা ১ হাজার কিলোওয়াট, যা দিয়ে একসাথে শহরাঞ্চলের ৭৫০টি বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি (পিপিসি) বর্তমানে প্রকল্পগুলোর বিনিয়োগকারীদের সাথে সরকার যে দাম বা ট্যারিফে বিদ্যুৎ কিনবে তা নিয়ে আলোচনা করছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়াকরণ কমিটি- নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো দ্রুত পর্যালোচনা করতে ধারাবাহিকভাবে সভা করছে। সরকারের কাছ থেকে নীতি সহায়তা পাওয়া এবং ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কনসোর্টিয়াম বা যৌথ উদ্যোগ গঠন করে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগ করছে।