চট্টগ্রাম বন্দরে অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অক্টোবরে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হোয়েছিল ৫৩ হাজার ৪৬৪ টিইইউ কনটেইনার। আর নভেম্বরে হয়েছে হয়েছে ৫৭ হাজার ৫৬০ টিইইউ। অর্থাৎ, অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে ৭.১১ শতাংশ বা ৪ হাজার ৯৬ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেশি হয়েছে। একইভাবে, অক্টোবরে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৭ টিইইউ। নভেম্বরে হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৬৩ টিইইউ। অর্থাৎ, অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে ৩.৫৯ শতাংশ বা ৩৮৬৯ টিইইউ বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। বন্দরের তথ্য মতে, চলতি বছরের শেষ দিকে টানা কয়েক মাস আমদানি-রপ্তানি কমে গেলেও নভেম্বর থেকে পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। ডিসেম্বরেও একই ধারা অব্যাহত থাকবে। ব্যবসায়ী এবং বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ডলার সংকট শুরু হয়। পণ্য আমদানি করতে এলসি ওপেন করতে পারছিল না ব্যবসায়ীরা।
এখনও পুরোপুরি এই সংকট না কাটলেও আগের তুলনায় পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে পণ্যবাহী রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৬, ৪৯, ৫৬৫ টিইইউ। ২০২২ সালের একই সময়ে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪৯ টিইইউ। ২০২৩ সালে ২০২২ সালের তুলনায় পণ্যবাহী ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৪ টিইইউ বা ১৩.৮০ শতাংশ রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং কম হয়েছে।
