ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধন কর কমল

জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধন কর কমল

জমি, বাসাবাড়ি ও কোনো স্থাপনাসহ ব্যক্তিগত সম্পত্তি হস্তান্তরে জমি নিবন্ধন উৎসে কর কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন ইস্যু করা হয়েছে। গত সোমবার এনবিআরের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনটি ইস্যু করেন এনবিআরের করণীতি বিভাগের সদস্য ড. সামস উদ্দিন আহমেদ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন ২০২৩-এর ৩৪৩ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উৎসে কর বিধিমালা সংশোধন করল এনবিআর, যা জমি নিবন্ধনে মৌজা অনুযায়ী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআরের এই আদেশ অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলার সকল মৌজার জমি ক, খ, গ, ঘ ও ঙ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গুলশান, বনানী, মতিঝিল ও তেজগাঁও থানার অন্তর্গত সব মৌজার জমিকে ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণির আওতাভুক্ত করে নিবন্ধনের সময় উৎসে কর দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৬-১৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ হবে। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে। ‘ঙ’ শ্রেণির জমি নিবন্ধনে উৎসে কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে যেটা সর্বোচ্চ হবে। একইভাবে ঢাকা জেলার ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল থানা, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, বংশাল, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার সকল মৌজার জমি নিবন্ধনে উৎসে কর দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৪, ১০ ও ১৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ হবে। আর ‘ঙ’ শ্রেণির জমি নিবন্ধনে উৎসে কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি তিন লাখ টাকার মধ্যে যা সর্বোচ্চ হবে। কাফরুল, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা মডেল থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, চকবাজার থানা, লালবাগ থানা, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া থানার অন্তর্গত সব জমি নিবন্ধনে (ঙ শ্রেণি ব্যতীত) উৎসে কর দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা হবে। ‘ঙ’ শ্রেণির উৎসে কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ টাকার মধ্যে। খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর মডেল, দারুস সালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর, গাজীপুর, জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জ থানার অন্তর্গত সব মৌজার জমি নিবন্ধনে উৎসে কর (ঙ শ্রেণি ব্যতীত) দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে। আর ‘ঙ’ শ্রেণির জমিতে ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১ লাখ টাকার মধ্যে হবে উৎসে কর। চট্টগ্রাম জেলার খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও গাজীপুরে পূর্ব ও পশ্চিম টঙ্গীর জমি নিবন্ধনে উৎসে কর দলিল মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার, ১ লাখ ও ৩ লাখ টাকার মধ্যে। একই সঙ্গে ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই উপজেলা, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, চকবাজার, বান্দগাঁও, ডাবলমুরিং, পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, বায়েজিদ, সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে সব মৌজার জমি নিবন্ধনে উৎসে কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০, ৮০ এবং ২ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত