চলতি মাসের শুরুতে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ৩০ হাজার কেজি পেঁয়াজ আমদানি করে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রাইশান এন্টারপ্রাইজ। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব পেঁয়াজের শুল্কায়ন করা হয় গত ২ ডিসেম্বর। শুল্কায়ন মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পেঁয়াজগুলোর প্রতি কেজির শুল্কায়ন মূল্য (এটি হলো-আমদানি মূল্য যার ওপর ভিত্তি করে শুল্কায়ন করা হয়) ছিল ৮২ সেন্ট। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসেবে এই আমদানি মূল্য পরিশোধ করে। সেই হিসেবে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল ৯০ টাকা। এর সঙ্গে ৫ টাকা পরিবহন খরচ হিসাব করলে পেঁয়াজ আমদানিতে কেজি প্রতি খরচ পড়ছে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা। এই ৯৫ টাকা দামের প্রতি কেজি পেঁয়াজ গত শনিবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতি কেজি পেঁয়াজে এখন লাভ হচ্ছে অন্তত ১০০ থেকে ১২০ টাকা। অথচ এক দিন আগেও শুক্রবার খাতুনগঞ্জে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১২০ টাকা।