প্রথমবারের মতো ব্লুমবার্গের প্রকাশিত ধনী পারিবারের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে আরব আমিরাতের আল নাহিয়ান পরিবার। এক্ষেত্রে তারা পেছনে ফেলেছে ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন পরিবার ওয়ালটনকে। আল নাহিয়ান পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫৯ বিলিয়ন। ১৯৭১ সালে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে প্রেসিডেন্ট করে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত হয়। ২০০৪ সালে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রধান হিসাবে তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হন। আর শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ২০২২ সালে আরব আমিরাতের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হন। গত চার বছরে তাদের কোম্পানিগুলোর স্টক প্রায় ৭ হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্সের হারমেস পরিবার। বিলাবহুল পণ্যের ব্যবসা করা পরিবারটি মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৫০ বিলিয়ন। ছয় প্রজন্ম ধরে রয়েছে পরিবারটির ব্যবসা। তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্স পরিবার। কনফেকশনারি ও পেট কেয়ারের ব্যবসা করা পরিবারটির সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ প্রজন্ম ধরে পরিবারটি এই ব্যবসার সাথে জড়িত। চমক হিসেবে তালিকার ৫ নম্বরে উঠে এসেছে কাতারের রয়েল পরিবার আল থানি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩৩ বিলিয়ন ডলার। আট প্রজন্ম ধরে চলছে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। ব্লুমবার্গ চলতি বছরের মোট ২৫টি ধনী পরিবারের নাম প্রকাশ করেছে। এই গোষ্ঠীটি গতবারের র্যাঙ্কিংয়ের তুলনায় আরো ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদ আয় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবারটি মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের কোম্পানির নাম কোচ ইন্ডাস্ট্রিস। গত তিন প্রজন্ম ধরে পরিবারটি ব্যবসা করছে। সৌদি আরবের আল সৌদ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার। তাদের মূল ব্যবসা মূলত তেলের। গত তিন প্রজন্ম ধরে তারা ব্যবসা করে আসছে। দেশটিতেই রয়েছে বিশ্বের সন্ধান পাওয়া পেট্রোলিয়ামের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের মজুত। ভারতের শীর্ষ ধনী আম্বানি পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজসহ আরো কিছু কোম্পানির মালিক আম্বানি পরিবার। তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি বলা হয়। ফ্রান্সের পরিবারটির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চ্যানেল নামক কোম্পানিটির মাধ্যমে পরিবারটি বিলাসবহুল পণ্যের ব্যবসা করে। পরিবারটির মালিকানাধীন কোম্পানি বহুল পরিচিত থমসন রয়টার্স। গণমাধ্যম ব্যবসার সম্পৃক্ত পরিবারটির মোট সম্পদের পরিমাণ ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।