বস্তায় আদা চাষ নতুনভাবে স্বপ্ন দেখাচ্ছে মাগুরার চাষিদের। স্বল্প জায়গায়, অল্প সময়ে উৎপাদনে খরচের ৪ গুণ লাভ হাতে আসছে বলে জানান তারা। কৃষি কর্মকর্তারাও নানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন লাভজনক এই পদ্ধতিতে আদা চাষে। মাগুরার নলদা গ্রামের কৃষক সঞ্জিত বিশ্বাস। বাড়ির পাশের ১০ শতাংশ মেহগনি বাগানে ১ হাজার ১০০ বস্তায় চাষ করছেন মসলাজাতীয় ফসল আদা। ৩ ফুট উচ্চতার গাছগুলোতে এখন ফসল আসার অপেক্ষা। তিনি জানান, আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে বস্তাপ্রতি ২০ গ্রাম বীজ সংগ্রহ করে আদা চাষ শুরু করেন। আশা করছেন, বস্তায় কমপক্ষে ২ কেজি আদা হবে। এতে লাভ থকবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। সঞ্জিত বলেন, এখন যে অবস্থা তাতে প্রতি বস্তায় ২ থেকে আড়াই কেজি আদা হবে। মসলাজাতীয় ফসল আছে ১০০ বস্তা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। সঞ্জিতের দেখাদেখি বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে এলাকার অন্যান্য কৃষকদেরও। এক কৃষক বলেন, আগে মাটিতে আদা চাষ হতো। এখন বস্তায় তা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে বস্তায় পণ্যটি চাষ করবো। আরেক কৃষক বলেন, সঞ্জিতের আদা চাষ অনেক সুন্দর হয়েছে। এখানে ভালো ফলন হবে। তার কাছ থেকে বীজ নিয়ে আমরাও তা চাষ করব। বস্তায় আদা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে এটি সম্প্রসারিত হলে জেলার মসলা উৎপাদন আরো সমৃদ্ধ হবে বলে দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজির আহমেদ বলেন, সঞ্জিতকে দেখে অনেক কৃষক পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। আমরাও তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও উৎসাহ দিচ্ছি। মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, সঞ্জিতের সঙ্গে আমাদের সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে কীভাবে বস্তার আদা রক্ষা করা যায়, সেই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অধিক উৎপাদনে প্রযুক্তি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের পতিত জমিতে এই আদা চাষ করা যায়।