ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লাখো মানুষের ভাগ্য বদলিয়েছে ‘অনলাইন হাট’

লাখো মানুষের ভাগ্য বদলিয়েছে ‘অনলাইন হাট’

কোনো দোকান নেই, নেই কোনো পণ্য সাজানোর স্থান। তবুও সেই হাটে নিয়ম করে সপ্তাহে দুইদিন চলছে লাখো মানুষের পণ্য বেচাকেনা। উদ্যোক্তা তৈরির কারখানা- ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশন এই অনলাইন হাট চালু করেছে যেখানে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছে। করোনা মহামারির সময় যখন মানুষের আয় রোজগার কমে যায়, তখন ‘আমরাই ক্রেতা আমরাই বিক্রেতা’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই হাটের। গত পৌনে ৩ বছরে ২৬০টি হাট অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি মঙ্গলবার ও শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা টানা ১২ ঘণ্টা চলা এই হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা নানারকম খাবার, পোশাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করেন। ‘নিজের বলার মতো একটি গল্প’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অপ্টিমেক্স কমিউনিকেশন লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল বাহার জাহিদ। যিনি উদ্যোক্তা তৈরি করতে এক নাগাড়ে ২ হাজার ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বহুমুখী দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। চলমান এই বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে এখন পর্যন্ত দেশ-বিদেশের সাড়ে ৭ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসার মাধ্যমে ভাগ্য বদল করেছেন অন্তত ১ লাখ মানুষ। যাদের কারণে অন্তত ৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। অন্যরাও ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক পথের দেখা পেয়েছেন। জানতে চাইলে ইকবাল বাহার জাহিদ বলেন, দেশে অনলাইন হাটের প্রচলন আমরাই প্রথম শুরু করেছি। এখানে আমাদের যেসব উদ্যোক্তা রয়েছে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করেন। এ পণ্য বিক্রির জন্য দোকান বরাদ্দ কিংবা মার্কেটিংয়ের জন্য কোনো খরচ হয় না। এমনকি কাউকে কোনো ধরনের কমিশনও দেওয়া লাগে না। ঘরে বসেই পণ্য বিক্রির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম ব্যাচ থেকে চলমান ২৪তম ব্যাচ পর্যন্ত সবাই আমাদের সঙ্গে এখনো যুক্ত আছেন। কেন? কারণ হলো- প্রত্যেক নতুন ব্যাচের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কেনাবেচার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিনিয়োগ পাওয়া কিংবা একসঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমি একটা এনগেজমেন্ট তৈরি করে রাখছি যাতে করে সবাই উপকৃত হন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত