দেশের পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে লিড গ্রিন কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬টিতে। গত বুধবার পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান এই তথ্য জানিয়েছেন। বিজিএমইএ সদস্যদের উদ্দেশে ফারুক হাসান বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই আমি আপনাদের ইউএসজিবিসিয়ের লিড প্রত্যয়নে নতুন কারখানা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলাম। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই মুহূর্তে আমাদের মুকুটে আরো দুটি প্লাটিনাম রেটেড লিড কারখানা যুক্ত হয়ে বাংলাদেশকে ২০৬টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার আবাসস্থলে পরিণত করেছে। এবারের সাফল্যটি আমাদের জন্য আরো বিশাল উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গাজীপুরস্থ এসএম সোর্সিং পোশাক কারখানাটি ১০৬ স্কোর করেছে। এ স্কোর ইউএসজিবিসি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ। এর অর্থ হলো, এসএম সোর্সিং পোশাক কারখানাটি গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেড (ইউনিট-৪) রেকর্ডও (স্কোর ১০৪) ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল স্বীকৃতি। লিড প্রত্যয়িত দ্বিতীয় কারখানা নাইস কটন লিমিটেড ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এই দুটি কারখানাই লিড প্লাটিনাম রেটেড কারখানার সংখ্যায় যুক্ত হয়েছে। ফারুক হাসান বলেন, এই ২০৬টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড রেটেড কারখানা। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৫৪টি রয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২১টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ১৯টি বাংলাদেশে। ফারুক হাসান বলেন, চলতি বছর ২৪টি পোশাক কারখানা লিড মর্যাদা অর্জন করেছে। যার মধ্যে ১৬টি প্লাটিনাম এবং ৮টি গোল্ড রেটেড। বিগত ৫ বছরে ইউএসজিবিসি কর্তৃক ১২৯টি কারখানা লিড গ্রিন ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা হিসেবে প্রত্যয়িত হয়েছে। সবুজ শিল্পায়নের বিপ্লবে এ ধরনের ম্যারাথন, সাসটেইনেবিলিটির অভিমুখে আমাদের আপসহীন অবস্থানের একটি প্রমাণ।