ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আইএমএফের হিসাবে এখন দেশের রিজার্ভ কত

জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
আইএমএফের হিসাবে এখন দেশের রিজার্ভ কত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি ডলার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাজেট সহায়তা ঋণের ৪০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

এতে আইএমএফফের গণনা পদ্ধতি বিপিএমণ্ড৬ অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে। গতকাল রোববার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং এডিবির ঋণের ৪০ কোটি ডলার পেয়েছি আমরা। এরই মধ্যে এই অর্থ রিজার্ভে যোগ হয়েছে। তাতে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়ে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটা আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব।

মেজবাউল হক বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএমণ্ড৬) অনুযায়ী এখন দেশের রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। সঞ্চিত এই অর্থ দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ মাসের পণ্য আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন হয়। এ সময় স্বল্প মেয়াদে এদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সতর্কতার মুদ্রানীতির রাশ টেনে ধরার পরামর্শ দেয় আইএমএফ। বিভিন্ন বিষয় আমলে নিয়ে এই পরামর্শ দেয় তারা। এর সঙ্গে সহায়ক নীতি হিসেবে নিরপেক্ষ রাজস্ব নীতি ও মুদ্রার বিনিময় মূল্যের ক্ষেত্রে আরও নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দেয় বৈশ্বিক ঋণদাতা গোষ্ঠীটি।

গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতি চেয়েছিল, তা অনুমোদন করেছে আইএমএফ। সেই সঙ্গে ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষদিকে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তবে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত