ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বসতবাড়ি বিক্রির ২ ঘণ্টা আগে লটারিতে কোটি রুপি

বসতবাড়ি বিক্রির ২ ঘণ্টা আগে লটারিতে কোটি রুপি

বড় অঙ্কের ঋণের সাগরে ডুবে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ বাভা। এমন অবস্থায় গত সপ্তাহে বন্ধু গণেশের কাছ থেকে একটি কল পান। সেই ফোনকলের পর বাভার পুরো পৃথিবীই বদলে যায়। সেদিন ওই ফোনকলে বাভার বন্ধু গণেশ তাকে জানিয়েছিলেন, তিনি লটারিতে ১০ মিলিয়ন তথা ১ কোটি রুপি জিতেছেন। বাভার কাছে এই সুখবর আসার সময়টা এর চেয়ে যথাযথ আর হতে পারত না। কারণ, ঋণের দায়ে জর্জরিত বাভা যে বসতবাড়ি বিক্রিরই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ভারতের কেরালা রাজ্যের কাসারগড় শহরের বাসিন্দা মোহাম্মদ বাভা ভবন নির্মাণকাজে কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। তখন কিন্তু বাভা কিংবা তার পরিবার কেউই ঋণগ্রস্ত ছিলেন না। গত কয়েক বছরের মন্দায় বাভার আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করায়। ২০২০ সালের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কায় তিনি আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। লটারি জিতে ভাগ্য ফেরানোর খবর নতুন কিছু নয়, কিন্তু বাভা ও তার পরিবারের কাছে এটা ছিল প্রায় অলৌকিক ব্যাপার! কারণ এই সুখবর পাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই নিজের একমাত্র বসতবাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার কথা ছিল ঋণের ভারে জর্জরিত বাভার!

গত ২৫ জুলাই বাভার বন্ধু গণেশ যখন তাকে ফোন করে লটারি জেতার খবর জানান, এক মুহূর্তে সব দুশ্চিন্তা উধাও হয়ে গিয়েছিল তার। কারণ, সেদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় একজন ক্রেতার সাথে দেখা করার কথা ছিল তার। কথা ছিল সেদিনই বাড়ি বিক্রির কথা পাকাপাকি হবে এবং অগ্রিম বায়নার টাকা পাবেন বাভা। কিন্তু তখনো তিনি জানতেন না, একটা ফোন কলেই বদলে যাবে তার ভাগ্য! একসময় ঋণের দায়মুক্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারই ছিল বাভার। তখন ভবন নির্মাণকাজে কনট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেখানে মন্দা চলায় এবং ২০২০ সালের শুরুতে ভারতসহ সারা বিশ্বে কোভিড মহামারির ভয়াল থাবায় আরো শোচনীয় অবস্থা হয় বাভার। এরপর কনট্রাক্টরের কাজ ছেড়ে অন্যান্য কাজ খুঁজতে থাকেন তিনি, সেই সাথে ঋণের পাহাড়ও উঁচু হতে থাকে। কারণ, মানুষের কাছে থেকে ধার-দেনা করেই এতদিন সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বাভার পাঁচ সন্তানের মধ্যে দুজনের সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও সন্তানদের বিয়ের খরচ বহন করতে হয়েছে তাকে। শুধু তাই নয়, ভালো চাকরির আশায় এক ছেলে কাতার যাওয়ার সময় তাকেও ঋণ করে টাকা দিয়েছেন বাভা। বাভার মনে আশা ছিল, শিগগিরই তিনি ভালো চাকরি পাবেন এবং ঋণ পরিশোধ করে ফেলবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত