আলুর বাজারে আবারও আগুন। ছয় মাস ধরে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না আলুর দাম। ৫০ টাকায় দাম উঠে গেলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজির দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে ভোক্তা অধিদপ্তরকে দিয়ে হিমাগার ও পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়ে দাম কিছুটা কমাতে পারলেও আবারও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ টাকা বেড়েছে। শুধু বুধবার রাত থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পণ্যটির দাম বেড়েছে ৮ টাকা। হঠাৎ আলুর দাম কেন বাড়ল- জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ায় পানি জমে আলু পচে গেছে। এখন আবার কৃষকদের নতুন করে আলু রোপণ করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন নতুন আলু বাজারে কম উঠছে, অপরদিকে প্রতি বিঘা জমিতে নতুন করে বীজ লাগাতে হচ্ছে। এতে খরচ বেশি হচ্ছে। উৎপাদন ব্যয় পড়ে যাচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। এবার আলু বাজারে এলেই দাম বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। মুন্সীগঞ্জে হিমাগারের আলু প্রায় শেষ হয়ে গেছে। সব হিমাগার খালি করতে ইতোমধ্যে হিমাগার কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন আলুও বাজারে সরবরাহ তেমন নেই। তাই আলুর দাম চড়া। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না। বরং সপ্তাহের ব্যবধানে তা আরও বাড়ছে। কারওয়ান বাজারে পেঁপে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। ভালো মানের পেঁপে ৪০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে।