সরকারের আরো ১৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য পেনশন স্কিম চালুর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল অর্থ বিভাগে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় তা অনুমোদন করেনি মন্ত্রণালয়। তবে অর্থ বিভাগের সম্মতিসাপেক্ষে নিজস্ব অর্থে পরিচালিত ১৭টি প্রতিষ্ঠানের পেনশন স্কিম চলমান থাকবে। অনুমোদন ছাড়াই গত অর্থবছরে পেনশন স্কিমের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি তহবিলের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই ব্যয় হয়েছে ৬৮৯ কোটি টাকা। এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, শিল্পকলা একাডেমি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। নিজস্ব আয়ে পেনশন প্রকল্প পরিচালনার জন্য অনুমোদিত, কিন্তু সরকারি তহবিল থেকে পেনশন পরিচালনা করছে- এমন ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ইত্যাদি। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত অর্থবছরে পেনশন ও অবসরকালীন সুবিধা প্রদানে সরকারি তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ২১৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। ২০০০ সালে নিজস্ব অর্থে পেনশন স্কিম চালু করার অনুমোদন পায় এটি। একইভাবে ২০১৪ সালে বিআইডব্লিউটিএ নিজস্ব তহবিল দিয়ে পেনশন স্কিম চালুর অনুমোদন লাভ করে। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩০ কোটি টাকা। নিজস্ব অর্থে পেনশন স্কিম চালুর জন্য অর্থ বিভাগ থেকে অনুমোদন নেওয়া বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) ও বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনও সরকারি তহবিল থেকে গত অর্থবছর পেনশনে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পেনশন স্কিমে সম্মতি দেওয়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আর্থিক সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব প্রতিষ্ঠান পেনশন তহবিলের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে সরকার থেকে নিয়মিত বার্ষিক অনুদান পাওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য পেনশন স্কিম প্রবর্তনে সম্মতি দেওয়া হলে ভবিষ্যতে আর্থিক দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তাবে।