আবারও দ্বন্দ্ব লাইটার জাহাজ মালিকদের মধ্যে, যার জেরে ৭৬৯ জাহাজ থেকে বন্ধ পণ্য খালাস। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল-ডব্লিউটিসির আওতাধীন জাহাজ মালিকদের অভিযোগ, আইভোয়াকের সদস্যরা সাড়ে ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা আটকে রেখেছে। তবে আইভোয়াকের দাবি, বহুদিন ধরে অনিয়ম চলছে ডব্লিউটিসিতে। জাহাজ মালিকদের তিনটি সংগঠন। এর মধ্যে ঢাকাভিত্তিক বিসিভোয়া, কোয়াব। আর চট্টগ্রামভিত্তিক আইভোয়াক। এতদিন সবাই জাহাজ পরিচালনা করে আসছিল ডব্লিউটিসির মাধ্যমে। কার্গো বা পণ্যের এজেন্ট জাহাজ ভাড়ার দায়িত্ব দেয় লাইটার জাহাজের প্রতিনিধি বা লোকাল এজেন্টকে। তারা লাইটার বরাদ্দ নেয় ডব্লিউটিসি থেকে। এই লোকাল বা কার্গো এজেন্টদের কেউ কেউ আবার লাইটার জাহাজ মালিক। যারা আইভোয়োকের সদস্য। সম্প্রতি তারা পৃথকভাবে জাহাজ পরিচালনা শুরু করে। এতেই বাধে বিপত্তি। ডব্লিউটিসির অভিযোগ, ভাড়া ও ডেমারেজ বাবদ আইভোয়াক সদস্যদের কাছে প্রায় ৬০০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে। যা না দিতেই আলাদা কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি। অবশ্য কম-বেশি ২০০ কোটি টাকা বকেয়ার কথা বলেছে আইভোয়াক। দায়ী করছে ডব্লিউটিসির অব্যবস্থাপনা, অস্বচ্ছতা আর নেতৃত্ব সংকটকে। ডব্লিউটিসির আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কাছে প্রচুর পরিমাণে টাকা পাই আমরা। তারা চাচ্ছে, তাদের জাহাজগুলোতে বেশি মুনাফা করতে। এজন্য ট্রিপ অধিক বাড়াতে মরিয়া সংশ্লিষ্টরা। এজন্য ডব্লিউটিসি থেকে বের হতে চাচ্ছে তারা। আইভোয়াক ও পণ্যের এজেন্ট মুখপাত্র পারভেজ আহমেদ বলেন, লোকান এজেন্ট কার্গো থেকে টাকা পাবে, এটা সত্য। তবে যে পরিমাণ বলা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। এছাড়া প্রত্যেক সপ্তাহে কার্গো এজেন্টকে অর্থ পরিশোধ করে আসছে লোকাল কর্তৃপক্ষ। দুইপক্ষের দ্বন্দ্বে গত বুধবার ডব্লিউটিসির সিরিয়ালে চলা লাইটার মালিকরা জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়। এতে তৈরি হয় সংকট। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, এখানকার স্টেকহোল্ডার হচ্ছেন পণ্যের এজেন্ট, আমদানিকারক, জাহাজ মালিক-সবাই। তাদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বহির্নোঙরে বড়জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয় ২ হাজারের বেশি লাইটার জাহাজের মাধ্যমে। তবে চলাচলরত লাইটারের প্রকৃত সংখ্যা কিংবা কোন সংগঠনের আওতায় কত লাইটার আছে- মেলেনি সঠিক তথ্য।