ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাপানের মূল্যস্ফীতি ১৬ মাসে সর্বনিম্ন

জাপানের মূল্যস্ফীতি ১৬ মাসে সর্বনিম্ন

জাপানে খাদ্যের দাম বাড়ার প্রবণতায় ধীর গতি দেখা দেয়ায় নভেম্বরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার বিগত ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। পচনশীল খাদ্য বাদ দিয়ে হিসাব করা মূল ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআই এক বছর আগের তুলনায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। গত অক্টোবরে এ হার ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে নভেম্বরে দেশটির সিপিআই ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন পয়েন্টে নেমেছে। নভেম্বর মাসে জাপানে বিদ্যুতের বিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম ১১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। যা দিনশেষে মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করেছে। এদিকে ওই মাসে অপচনশীন খাবারের দাম ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়লেও তা অক্টোবর মাসের ৭ দশমিক ৬ শতাংশের তুলনায় কম। একই ভাবে গৃহস্থালী টেকসই জিনিসপত্রের দাম বাড়ার গতি অক্টোবরে ৩ দশমিক ২ শতাংশ ছিল, যা নভেম্বেরে কমে নেমেছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া পর্যটক বাড়ায় হোটেলের ফি বেড়েছে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ। দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইয়োশিকি শিনকে বলেন, সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতির ধীরগতি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এক্ষেত্রে শিল্পভিত্তিক কোম্পানিগুলো যদিও দাম বাড়িয়ে দিতে চায়, কিন্তু আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ায় তারা তাড়াহুড়ো করে মূল্য বাড়াতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, বসন্ত কালে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হবে। কাজেই আগামী মাসগুলোয় মূল্যস্ফীতির হার কোথায় দিয়ে ঠেকবে, তা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আমদানি ব্যয় ও বাজার চাহিদার ওপর নির্ভর করছে। যদি মজুরি বাড়ে, তাহলে তা সার্বিকভাবে মূল্য বাড়ার প্রবণতার ওপর আবারও প্রভাব ফেলতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে মূল সিপিআই হার ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন শিনকে। তিনি বলেন, এ সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত