ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিআইডিএসের সম্মেলন

মাঠপর্যায়ের কাজে বড় সমস্যা ঘুষ

মাঠপর্যায়ের কাজে বড় সমস্যা ঘুষ

সরকারের মাঠপর্যায়ের কাজে সাধারণ ঘুষের পাশাপাশি এক্সটরশন বা তোলাবাজি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী কর্মীদের পাশাপাশি তদারককারী কর্মীরাও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। অনেক সময় তোলাবাজির পরিমাণটা ঘুষের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) শীতকালীন অর্থনৈতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে দুর্নীতি ও প্রণোদনাবিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধে এসব কথা বলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ফাহাদ খলিল। তিনি বলেন, যেকোনো উন্নয়নকামী সরকারেরই চিন্তা থাকে দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রশাসন পরিচালনা, সেবা প্রদান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। এ জন্য মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নকারী কর্মীর পাশাপাশি তদারকি কর্মীরও প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারে। মূলত ঘুষ ও তোলাবাজি, দুভাবেই দুর্নীতি হয়। তদারককারী কর্মী সৎ হলে তোলাবাজির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। কিন্তু ঘুষের বেলায় এটি করা যায় না। এ ক্ষেত্রে তদারকি কর্মীদের প্রণোদনা দেওয়া একটি ভালো উপায় হতে পারে। তবে এ প্রণোদনা যৌক্তিক হতে হবে।

এই অধিবেশনে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, ‘যারা সরকারের প্রকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, তাঁরা ঘুষ-তোলাবাজির বিষয়টি মাথায় রাখেন না। এগুলোর প্রভাব পড়ে বাস্তবায়নে।

তোলাবাজির প্রভাব খুবই নেতিবাচক হয়। এটাকে কমিয়ে আনা ও প্রণোদনাকে আরও বেশি বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। আমাদের বাস্তবতায় প্রণোদনা মডেলে না গিয়ে শুধু নৈতিকতার মানদ-ে হিসাব করে ঘুষ-তোলাবাজি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’ মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রণোদনা দিয়েও অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায় না। ফলে এ নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি ঘুষ ও তোলাবাজি কমিয়ে আনতে প্রযুক্তিগত সমাধানে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত