পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির চুক্তি

গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও এমআরএ’র মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। এমআরএ’র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ফসিউল্লাহর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত এ অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, পিকেএসএফ, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তারা, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ, ক্ষুদ্রঋণ খাতের নেটওয়ার্কিং এজেন্সি, সাংবাদিকরা এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও গজঅ-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব কবিরুল ইজদানী খান ও এমআরএ’র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মো: ফসিউল্লাহ্ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সনদ প্রদান করে এমআরএ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭২৮টি সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ২৫, ৩৩৬টি শাখার মাধ্যমে দেশের ৪ কোটি সদস্যের মধ্যে ২৪৯, ৩০২ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। জুন ২০২৩-এ ক্ষুদ্রঋণের স্থিতি ছিল ১৫০, ৪১৮ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়স্থিতি ছিল ৬২,০৫৫ কোটি টাকা। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২,০৬,২৩৭ জন কর্মরত আছেন। নিয়ম অনুসারে, প্রগতি স্কিমের চাঁদা কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ এবং মালিকপক্ষ ৫০ শতাংশ হারে বহন করবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও অর্থ সচিব এ অনুষ্ঠানে সফলতা কামনা করে এমআরএ ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং জাতীয় পেনশন স্কিমের সাফল্য কামনা করেন।