ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিরূপ আবহাওয়ায় উৎপাদনে ধস

মৌসুমেও ঊর্ধ্বমুখী লবণের বাজার

মৌসুমেও ঊর্ধ্বমুখী লবণের বাজার

দেশে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় লবণের আনুষ্ঠানিক উৎপাদন মৌসুম। কিন্তু এ বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরেও বৃষ্টি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে লবণ উৎপাদন। শীত ও কুয়াশার প্রভাবেও বিলম্বিত হয়েছে উৎপাদন কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে তড়িঘড়ি করে ১ লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি দিলেও ভারতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশে যথাসময়ে পৌঁছেনি এসব লবণ। ফলে সরবরাহ চেইনে ঘাটতির কারণে অস্বাভাবিক বেড়েছে লবণের দাম। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে পণ্যটির দাম (দুই মণ) বেড়েছে ২০০-২৫০ টাকা। বর্ষা মৌসুমের শেষার্ধেও অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া ও শীতের কুয়াশাজনিত কারণে আশানুরূপ লবণ উৎপাদন হয়নি। তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ৫২ হাজার টন। একই সময়ে চলতি বছর লবণ উৎপাদন নেমেছে মাত্র নয় হাজার টনে। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছিল ৮৬ হাজার টন। চলিত বছরের একই সময়ে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৭ হাজার ২০৭ টন। হিসাব অনুযায়ী, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্যটির উৎপাদন কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। উৎপাদন কমলেও কমেনি চাহিদা। ফলে সরবরাহ চেইনে ঘাটতি দেখা দেয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে পণ্যটির বাজার। আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ টন বাড়তি লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও মৌসুমের শুরুতেই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির বাজার অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্র বলছে, দুই-তিন সপ্তাহ আগেও দেশে দুই মণ লবণের দাম ছিল মাঠ পর্যায়ে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এ সময়ের মধ্যে উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানীকৃত লবণ নির্ধারিত সময়ে দেশে না পৌঁছানোয় পণ্যটির দাম বেড়েছে অন্তত ২৫০ টাকা। দেশে লবণের ভরা মৌসুমেও উৎপাদন না বাড়ায় পণ্যটির দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। বিসিক সূত্রে জানা গেছে, দেশে এ বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন। চাহিদার তুলনায় বাড়তি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হওয়ার আশা করেছে বিসিক। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এবং আমদানি পণ্য পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়েও এর প্রভাব পড়েছে। মিল মালিকরা বলছেন, আমদানির অনুমতি পাওয়া লবণ চলতি মাসের শেষার্ধে দেশে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে। আমদানির পর ক্রাশিং করে বাজারে পৌঁছতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এতে দেশে লবণের বাজারে অস্থিরতা আরো কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট এলাকার হাজি লাল মিয়া সল্ট অ্যান্ড ক্রাশিং ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একসময় মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। এখন মৌসুম শুরু হওয়া সত্ত্বেও লবণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকারও বেশিতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত