নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে কমেছে চিনির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ভোগ্যপণ্যটির দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়ায় পাশের দেশ থেকে চোরাইপথে বিপুল পরিমাণ চিনি বাজারে প্রবেশ করেছে। চোরাইপথে আসা চিনির দাম পাইকারি বাজারে কম থাকায় ক্রেতারাও সেদিকেই বেশি ঝুঁকছেন। এতে দেশীয় বাজারে নিম্নমুখী পণ্যটির দাম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিতাইগঞ্জে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ১৩৮-১৩৯ টাকা। এ হিসাবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে চিনির দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ভোক্তাপর্যায়ে এখনো ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্যটি। ব্যবসায়ী দীলিপ সাহা বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে চিনির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চিনির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল। তাতেও কমেনি পণ্যটির দাম। বরং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়েছেন পাচারকারীরা।’ এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারতে চিনির দাম তুলনামূলক কম থাকায় চোরাইপথে সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ চিনি বাজারে ঢুকেছে। এসব চিনি কম দামে দেশের মফস্বল শহর ও স্থানীয় বাজারের দোকানে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে মিলগেট ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনির দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন।’