মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরী স্থাপনের ৬ বছর : ৮৮ শিল্প ইউনিট

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকল্প গ্রহণের প্রায় এক দশক পর ২০১৭ সালে কাজ শেষ হয় চট্টগ্রামের মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর। ২ বছরের মধ্যেই ৮৮ শিল্পোদ্যোক্তার মধ্যে সব প্লট বরাদ্দ দেয় বিসিক। কিন্তু প্রকল্প শেষ হওয়ার সাড়ে ৬ বছরেও উৎপাদনে যেতে পারেনি ৮২টি শিল্প ইউনিট। বর্তমানে মাত্র ছয়টি প্রতিষ্ঠান এ শিল্পনগরীতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়ে দেশের শিল্প খাত। এরপর ব্যাংকে তারল্য সংকটের পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি, বৈশ্বিক ও স্থানীয় অর্থনীতিতে অস্থিরতা, ব্যাংক থেকে ঋণপ্রাপ্তিতে জটিলতাসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পনগরীর কার্যক্রম শ্লথ। বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দশমিক ৩২ একর আয়তনের মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীতে এ-টাইপ প্লট ২৭টি, বি-টাইপ ৩৩টি ও সি-টাইপ প্লট ২৮টি। ২০১৭ সালে কাজ শেষ হওয়ার পর দরপত্র আহ্বান করলে ১১৪টি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে শিল্পোদ্যোক্তাদের ৮৮টি প্লট বরাদ্দ দেয় বিসিক চট্টগ্রাম জেলা প্লট বরাদ্দ কমিটি। ৫ বছরের মধ্যে ৯টি কিস্তিতে প্লটের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন শিল্পোদ্যোক্তারা। এককালীনও প্লটের ইজারামূল্য পরিশোধের সুযোগ রাখা হয়। কিন্তু ১৪ শিল্পোদ্যোক্তা সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় প্লটগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে ১৪টি প্লটের বিপরীতে ৫৬টি আবেদন জমা পড়ে। পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে বাকি প্লটগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয় ২০২২ সালে। প্লটের প্রতি বর্গফুট জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা। শিল্পনগরীটিতে প্রকৌশল খাতে ১৯টি, খাদ্য ও খাদ্যজাত শিল্প খাতে ১৯, তৈরি পোশাক খাতে ১৬, সিরামিকস ও নন-মেটালিক খাতে তিন, কেমিক্যাল অ্যান্ড অ্যালাইড খাতে ১০, রাবার-লেদার অ্যান্ড অ্যালাইড খাতে চার, প্যাকেজিং খাতে আট এবং বন ও বনজ খাতে তিনটি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।