সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক

বিদেশিদের জন্য থাকছে বিশেষ পর্যটন জোন

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার সাগর তীরে অবস্থিত। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্রসৈকত, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও অন্যান্য পর্যটন স্পটসমূহের জন্য কক্সবাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের চিত্ত বিনোদন ও নৈসর্গিক প্রাকৃতিক শোভা দেখার জন্য অন্যতম গন্তব্যস্থল। অমিত সম্ভাবনাময় এ জায়গাগুলোকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক এবং টেকনাফ উপজেলার জালিয়ার দ্বীপে নাফ ট্যুরিজম পার্ক ও সাবরাং ইউনিয়নে সাবরং ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন করছে বেজা। বেজা বলেছে, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক হবে বাংলাদেশের ট্যুরিজমের অন্যতম আকর্ষণীয় ও বিনোদনের কাঙ্ক্ষিত স্থান।

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাতে এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন হবে। বিদেশি পর্যটকরা আকৃষ্ট হবেন। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে প্রায় ১৫ হাজার লোকের। বেজা সূত্রে জানা গেছে, সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে এরই মধ্যে ২৭ জন বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ১১২.২৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, যাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪১৩ মিলিয়ন ডলার। এদের মধ্যে নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে সীমানা প্রাচীর ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণকাজ চলমান আছে। এখানে থাকবে পাঁচ তারকা হোটেল, ইকো-ট্যুরিজম, মেরিন একুয়ারিয়াম, সি-ক্রুজ, বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা। সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের বিশেষ ব্যবস্থা, ভাসমান জেটি, শিশু পার্ক, ইকো-কটেজ, ওসানেরিয়াম, আন্ডার ওয়াটার রেস্টুরেন্ট, ভাসমান রেস্টুরেন্টসহ নানাবিধ বিনোদনের সুবিধা। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ভেতরে ১০০ একর জায়গায় বিদেশিদের জন্য একটি ‘এক্সক্লুসিভ জোন’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বিদেশি পাসপোর্ট দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে এ জোনে। এ বিষয় বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টার-এশিয়া লিমিটেড সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন নীতিগত অনুমোদন চেয়ে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। বেজা সূত্রে জানা গেছে, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক-সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ থেকে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে এবং সমীক্ষাটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘মোট ৯৪০ একর জায়গার মধ্যে ১০০ একর জায়গায় হবে বাংলাদেশের প্রথম এক্সক্লুসিভ জোন। সেখানে শুধু ফরেন (বিদেশি) পাসপোর্ট যাদের আছে, তারাই যেতে পারবেন।’ শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘সাবরং ট্যুরিজম পার্কে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন লে আউট তৈরি করবো।