বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বার্ষিক রপ্তানি আয়ের হিসাবের মধ্যে পার্থক্য নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর এই দুই প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয়ের হিসাবে ২ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার ফারাক থাকলেও এবার এই ব্যবধানের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার, যা বিগত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি ইপিবির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৬৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এ রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫০ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের হিসাবের মধ্যে ফারাক দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গতকাল রোববার বিআইএসআইএস অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, একটি দেশের নীতিনির্ধারণের জন্য সঠিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের কোনো বিকল্প নেই। এই তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে সরকার পলিসি গঠন করে, প্রাইভেট খাত পরিকল্পনা সাজায়। মশিউর বলেন, বাংলাদেশ ও ইপিবির হিসাবের মধ্যে ফারাক নতুন কিছু নয়। কিন্তু ১২ বিলিয়ন ডলারের ফারাক অনেক বেশি। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ইপিবি মূলত শুল্ক বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। সে হিসাবে ইপিবির প্রদত্ত তথ্যের তুলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বেশি গ্রহণযোগ্য। এর আগে পেনেলিস্টদের বক্তব্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র অর্থনৈতিক ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২-৪ বিলিয়ন ডলারের হিসাব মেনে নেয়া যায়, কিন্তু ১২ বিলিয়ন ডলারের হিসাবের হেরফেরের একটি কূলকিনারা করা প্রয়োজন।