গত বছর ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি ক্রেতাদের ভোগান্তি শুরু হয়েছিল। সেই ভোগান্তি কমাতে মুরগি ও ডিমের বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এজন্য নিচ্ছে নতুন উদ্যোগ। রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে আড়ত খুলে প্রান্তিক খামারিরা মুরগি ও ডিম সরবরাহ করবে। কার্যক্রমটির উদ্বোধন হচ্ছে আজ (বুধবার)। গত বছর জানুয়ারিতে প্রতি কেজি মুরগির দাম ছিল ১৪০ টাকা। সেই মুরগি মার্চণ্ডএপ্রিলে বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা কেজিতে, দাম বেড়েছিল ১১৪ শতাংশ। ডিসেম্বরেও মুরগির কেজি ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা। জানুয়ারিতে ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিমের হালি উঠে যায় ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ডিমের দামও বেড়েছিল ১০০ শতাংশের বেশি। চড়া দামে বাজারে মুরগি ও ডিম বিক্রি হলেও প্রান্তিক খামারিরা এতো দাম পায়নি। এসব টাকা গেছে মধ্যস্বত্ত্ব ও সিন্ডিকেটদের পকেটে। অল্পদিনেই তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিমের দাম ৪৮ টাকা হালি নির্ধারণ করে দিয়েও লাগাম টানতে পারেনি করপোরেটগুলোর বিরুদ্ধে। অবশেষে বিপিএ, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ১৬ অক্টোবর থেকে রাজধানীর ৩০ থেকে ৩৫টি স্থানে ট্রাকসেলে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি শুরু করলে সপ্তাহের ব্যবধানে কমে আসে ডিমের চড়া দাম। ৭০ টাকা হালির ডিম আবার ফিরে আসে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায়। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারও ভোক্তা অধিদপ্তরের সহায়তায় ডিম ও মুরগির আড়ত চালু করছে বিপিএ। তৈরি করবে মুরগির ফিডও। এ ব্যাপারে বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন থেকে শুরু করে ব্রয়লার, সোনালি, লেয়ার মুরগি, ডিম, মেডিসিন ও ফিডের দাম আকাশছোঁয়া করে ফেলে করপোরেটগ্রুপ। তাদের কারণে প্রান্তিক খামারিরা লোকসানে পড়ে।’তারা প্রথমে দাম কমিয়ে দেয়। এতে প্রান্তিক খামারিরা পথে বসে যায়। তারপর তারা দাম বাড়িয়ে দেয় নিজেদের পণ্যের। এতে করে প্রান্তিক খামারিরা নিঃস্ব হয়ে যায়।