গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অসত্য এবং বিকৃত
বিজিএমইএ
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের নারী পোশাক শ্রমিককে যৌনকর্মী হিসেবে তুলে ধরে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি সংবাদকে নারীদের জন্য মানহানিকর উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। গত বুধবার ব্রিটিশ হাই কমিশনার বরাবর এ চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের এক নারী পোশাক শ্রমিককে যৌনকর্মী হিসেবে তুলে ধরে ‘ওমেন ম্যাকিং খ্রিষ্টমাস জাম্পারস ফর ইউকে টার্নস টু সেক্স ওয়ার্ক টু পে বিল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। ওই সংবাদে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ও শ্রমিককে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট। নারী ক্ষমতায়নের এ সময়ে এসে এমন নিবন্ধ অবশ্যই পুরো পোশাক শিল্পের জন্য অবমাননাকর। এতে আরো বলা হয়, ‘নারীর ক্ষমতায়নে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের ভূমিকাকে উপেক্ষা করে প্রতিবেদনটিতে এ খাতকে একটি নিপীড়ক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। লাখ লাখ বাংলাদেশি নারী আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তৈরি পোশাক শিল্পে কাজ করে নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে তাদের পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের পাশপাশি সন্তানের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত নারীর জন্য এ শিল্প খাত হচ্ছে প্রধান কর্মসংস্থানের উৎস। এ শিল্প খাত নারীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে নারীদের সাক্ষরতার হার বেড়েছে।’ গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনকে পক্ষপাতমূলক উল্লেখ করে বিজিএমইএ চিঠিতে উল্লেখ করেছে, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে লাখ লাখ নারী শ্রমিকের সংগ্রামকে অসম্মান করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ যে এমন ভুল প্রতিবেদনের শিকার এবারই প্রথম হয়নি, সেই বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এর আগেও দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে একই রকম চাঞ্চল্যকর তথ্যাদির উল্লেখ করা হয়েছে, যার কোনো সত্যতা নেই। কাজেই আমরা সংবাদকর্মীদের কাছে একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা করি। চিঠিতে হাই কমিশনারকে অনুরোধ করা হয় যেন, তারা গার্ডিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং নির্ভুলভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়। এদিকে, গত ২ জানুয়ারি গার্ডিয়ানের এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনসহ ৭টি শ্রমিক সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে তারা দাবি জানান, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিককে যৌনকর্মী হিসেবে তুলে ধরে সংবাদ প্রচার করায় মানবজমিন পত্রিকাকে তিনদিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। না হলে নির্বাচনের পর সারা দেশের পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে মানবজমিন কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।