বার বার প্রণোদনা বাড়িয়েও বৈধ পথে প্রবাসীদের অর্থ আনা যাচ্ছে না দেশে। এত উদ্যোগের পরও বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩ শতাংশেরও কম। এটি বাড়াতে না পারলে আমদানি নিষ্পত্তি অব্যাহত রাখা ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বৈধ পথে প্রবাসী আয় আনতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। কিন্তু তাতেও রেমিট্যান্স আসছে না প্রত্যাশা অনুযায়ী। সবশেষ ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি দেশে পাঠালেও বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় তা তুলনামূলক কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে মোট এসেছে ১ হাজার ৮০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে মাসিক গড় ১৮০ কোটি ডলার। এই অংক কিছুটা বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে। তবে এসময়ে যে সংখ্যক প্রবাসী গেছেন, তাদের আয়ের প্রতিফলন নেই রেমিট্যান্সের পরিমাণে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৈফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের এই পরিস্থিতি থাকলে ভবিষ্যতে আমদানি ব্যয় অনেক ঝুঁকির মুখে পড়বে। এই অবস্থায় বিধিনিষেধ বাংলাদেশ সরকার তুলে দিলে পুরো বহিঃখাত ঝুঁকিতে পতিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, আশা করছি, সামনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।