ইউরো জোনে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইউরো জোনে সদ্য শেষ হওয়া বছরের ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্টাটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির তীব্রতা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে কম হওয়ায় সদ্য শুরু হওয়া বছরে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে সুদের হার হ্রাসের বার্তা দিতে পারে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার ইউরোস্টাটের প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, ইউরো জোনের পণ্য ও পরিষেবা মূল্যের হ্রাসবৃদ্ধির পরিমাপ মাত্রা বা কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) গত বছরের নভেম্বর মাসের ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশে। যদিও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিল, তবে এ ব্যাপারে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের করা এক জরিপের পূর্বাভাসের থেকে মূল্যস্ফীতির মাত্রা ছিল কিছুটা কম। ওই জরিপে বছর শেষে তিন শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এর আগে নভেম্বর মাস পর্যন্ত টানা পাঁচমাস মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়ে আসছিল ইউরোজোনে। অবশ্য নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে হ্রাস পেয়েছে মৌলিক মূল্যস্ফীতি। নভেম্বরের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ডিসেম্বরে মৌলিক মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে যা মূল্যস্ফীতি প্রবণতার নিম্নমুখী ধারাকে নির্দেশ করছে। এদিকে ইউরোজোনে ডিসেম্বরের এই মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার হ্রাসে উৎসাহিত করতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভের তথ্য জানাচ্ছে গত এপ্রিলে প্রথম ২৫ বেসিস পয়েন্ট মাত্রার ভিত্তিতে হ্রাস হওয়া সুদের হারের ভিত্তিতে বর্তমানে মুদ্রার বাজারে মূল্যমান নির্ধারিত হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে সর্বশেষ বৈঠকে আমানতের সুদের হার ৪ শতাংশ রেখে ইসিবি এই সুদের হার বহাল রাখে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মূলত নভেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বর মাসে জ্বালানির খরচ হ্রাসের তুলনামূলক ধীর গতির কারণেই ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি নভেম্বরের ২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ডিসেম্বর মাসে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যেখানে ফ্রান্সে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, অপরদিকে ইতালিতে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে।