ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অর্থনীতির যেসব নিয়ে শুরু নতুন বছর

অর্থনীতির যেসব নিয়ে শুরু নতুন বছর

ব্যাংক খাতের ‘চিরন্তন’ সমস্যা খেলাপি ঋণ। গত বছরজুড়ে খেলাপি ঋণ ছিল লাগামছাড়া। সেই লাগামহীন খেলাপি ঋণ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছর। দেশের ব্যাংক খাতে ২০২২ সালের শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, যা বিদায়ি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। দুই-তিন বছর আগেও বলা হতো, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো বেশ সুসংহত। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলার ছুঁই ছুঁই করত। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি খাত জমে উঠেছিল। মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় টাকাকে শক্তিশালী অবস্থায় রাখা হয়েছিল। আবার রাজস্ব ছিল আদায় গতানুগতিক। সব মিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঠিকঠাকই ছিল।

এ রকম অবস্থায় কোভিডের প্রভাব শুরু হলে এবং এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেখা দিলে এক এক করে সূচকগুলোর অবনতি হতে থাকে। এখন প্রায় সব সূচকই ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। নতুন সরকার এসে সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব সূচকে নজর দিতে হবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মূল্যস্ফীতি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়, ব্যাংক খাত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদেশি ঋণ, রাজস্ব আয় ইত্যাদি। রপ্তানিতে নভেম্বর ও অক্টোবর মাসে নেতিবাচক আর বাকি চার মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক দশক ধরে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে রপ্তানি খাত ছিল অন্যতম ভালো খাত। এটিও এখন দোলাচলে আছে। এই খাতের এমন অবস্থা নিয়েই বছর শুরু হলো। রপ্তানি বাড়লে দেশে ডলার আসে, যা বৈদেশিক রিজার্ভকে আরও সুসংহত করে। ছয় মাস ধরে রপ্তানি খাতে কখনো ইতিবাচক, কখনোবা নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। এমন দোলাচলে সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে অবশ্য রপ্তানিতে ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে ৫৩৬ কোটি ডলার রপ্তানি হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত