রমজান সামনে রেখে রোজার দুই মাস আগেই বাজারে ছোলার দাম বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ছোলা আমদানি বেশি হলেও ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে ছোলার দাম বাড়তে শুরু করে।
গত সপ্তাহের তুলনায় এখন দাম সামান্য নিম্নমুখী হলেও আগের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে দেশে ছোলা আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত এক বছরে দেশে ছোলা আমাদনি হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিকটন। এই হিসেবে আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ৩৪ হাজার মেট্রিক টন ছোলা বেশি আমদানি হয়েছে। খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা জানিয়েছেন, বর্তমানে খাতুনগঞ্জে শুধু কানাডিয়ান ছোলাই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫ টাকা। আর আগে আমদানি করা পুরাতন ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৮৬ টাকায়। অথচ এসব ছোলা দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৮২ টাকায়। আর নতুন ছোলা বিক্রি হয়েছিল ৮৫ থেকে ৮৬ টাকায়। সেই হিসেবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানেই খাতুনগঞ্জে নতুন ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১০ টাকা। খাতুনগঞ্জের আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘বাজারে ছোলার কোনো সংকট নেই। সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এরপর দাম কেন বাড়ছে বোঝা যাচ্ছে না। আমদানি কারকদের দাবি, ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানিতে খরচ বেশি পড়ছে। এ কারণে এখন ছোলার দাম ঊর্ধ্বমুখী।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ছোলার চাহিদা বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসে চাহিদা থাকে প্রায় ১ লাখ টন। সেই হিসেবে দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ মেট্রিকটন ছোলা আমাদনি হয়। সেই হিসেবে ২০২২ এবং ২০২৩ ২ বছরে চাহিদার চেয়ে বেশি ছোলা আমদানি হয়েছে।