ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পোশাক রপ্তানি

যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান

যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান

যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাকের বাজারে চীন ও ভিয়েতনামকে পাশ কাটিয়ে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। গত বছরের প্রথম ১০ মাসে যুক্তরাজ্য বিশ্ববাজার থেকে তৈরি পোশাকের আমদানি গড়ে কমিয়েছে ১৬.৪৪ শতাংশ। তবে তাদের দেশের বাজারের রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম ৯ শতাংশের মতো আমদানি কমেছে। যুক্তরাজ্য ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেছে ১ হাজার ২০৯.৩১ কোটি ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক। আগের বছর (২০২২ সালে) একই সময়ের তুলনায় এটি ১৬.৪৪ শতাংশ কম। ওই বছরের একই সময়ে দেশটিতে ১ হাজার ৪৪৭.১৯ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করা হয়।

দেশটির আমদানি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ব্যয় সংকোচন নীতিতে চলা বাজারটিতে বছর ব্যবধানে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৮ দেশেরই যোগান কমেছে। তবে সবচেয়ে কম কমেছে বাংলাদেশের, যার পরিমাণ ৮.৯৮ শতাংশ। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ২৭.৯৮ শতাংশ কমেছে তুরস্ক থেকে। বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, গত অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে যুক্তরাজ্যে ৩১৮ কোটি ৩১ লাখ ডলার মূল্যের ১৫ কোটি ৯৩ লাখ কেজি তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে চীন। যেখানে ২০২২ সালের একই সময়ে দেশটিতে ৪০২.৯৭ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল চীন। এক বছর আগের তুলনায় যুক্তরাজ্যের বাজার থেকে দেশটির আয় কমেছে ২১.০১ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশের আয় কমেছে ৮.৯৮ শতাংশ, যা শীর্ষ ৮ দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ সময় ৩০১.১৪ কোটি ডলার মূল্যের বাংলাদেশি তৈরি পোশাক গেছে যুক্তরাজ্যে। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে ৩৩০.৮৫ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছিল যুক্তরাজ্য। অবশ্য ওজনের ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যার পরিমাণ ১৭.৮৪ কোটি কেজি। বছর ব্যবধানে শতাংশের হিসাবে যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক থেকে সবচেয়ে বেশি ২৭.৯৮ শতাংশ আয় কমেছে বাজারটির তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ তুরস্কের। ১৫২ কোটি ৯০ লাখ ডলার থেকে দেশটির আয় নেমে এসেছে ১১০ কোটি ১২ লাখ ডলারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত