শখ করে বিদেশি পোষা পাখি, নানা জাতের কবুতর অনেকেই পালন করেন। এসব প্রাণীর জন্য যা যা দরকার তা পাখির দোকান থেকে সংগ্রহ করা যায়। আবার পাখির হাট থেকেও সংগ্রহ সম্ভব। বিশেষ করে পোষা পাখি, কবুতর। গত কয়েক বছরে পোষা পাখিপ্রেমীর সংখ্যা বেড়েছে। সে কারণে বেড়েছে পাখি বিক্রি। পাখি বিক্রির দোকান। জেলা শহর তো বটেই। বিভাগীয় শহরেও এখন পাখির হাট বসে। প্রচুর পাখি ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়। পাখির কিচির মিচির শব্দে ঘুম ভাঙে গ্রামের মানুষের। একসময়ে শহরের মানুষও পাখির কিচির মিচির শুনতে পেতেন। ওই সময় বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি ও সবুজের সমারোহ ছিল ঢাকার শহরে। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেসব স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বড় বড় দালান। ফলে পাখিরাও স্থান ত্যাগ করেছে। এখন শহরে শুধুই কাকের দেখা মেলে। কালে-ভদ্রে চোখে পড়ে অন্যান্য পাখি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভাবনারও পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই এখন সখের বসে পাখির পুষতে শুরু করেছেন। যারা অল্প জায়গায় স্বল্প পরিসরে পাখির কিচির মিচির শুনতে চান নগরে বসেই। স্বল্প পুঁজিতে অনেকেই আবার পাখির ব্যবসাও শুরু করেছেন। ব্যবসা জনপ্রিয় হওয়ায় সপ্তাহে বাজারও বসছে একাধিক স্থানে। তবে, পাখির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভণ্ডপ্রকাশ করেছেন পাখি প্রেমিদের অনেকে। গতকাল শনিবার রাজধানীর কাপ্তান বাজারে কথা হয় পাখিপ্রেমি সানাউল্লাহর সঙ্গে। যাত্রাবাড়ীর মিরহাজারিবাগ এলাকা থেকে আসা সানাউল্লাহ বলেন, বাবার মুখে শুনেছি একসময় ঢাকার সবখানে গাছ ছিল। পাখির বাসা থাকতো সবখানে। পাখির ডাকে সকালে উঠতেন তারা। এখন গাছের স্থানে বড় বড় বিল্ডিং হয়েছে। সেই পাখির ডাক আর পাওয়া যায় না। তবে, বাসার মধ্যেই বেলকুনিতে খাঁচায় পাখি পালন করা শুরু করেছি। সানাউল্লাহ বলেন, আমার বাসায় কবুতর বেশি। প্রতি মাসেই বাচ্চা-ডিম দেয়। কিন্তু মাংস খেতে মায়া হয়। এ কারণে বেবি (বাচ্চা) বড় হলেই খাঁচা বাড়িয়ে দিই অথবা বিক্রি করে দিই। দেশি মুরগি ছিল। কয়েক দিন আগে মুরগিটা মারা গেছে। এ কারণে কয়েকটা কবুতর বিক্রি করে, ডিম দেওয়া একটা মুরগি কিনতে এখানে এসেছি। এখানে হাসিল (খাজনা) নেই, খাঁচা প্রতি ২০ টাকা নেওয়া হয়। এ কারণে এ বাজারের পরিধির সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতার আগমনও। সখের বসে পাখি পালন করেন ফজলুল হক। তিনি বলেন, গ্রামে বড় হয়েছি, এখন শহরে এসেছি চাকরির সুবাদে। গ্রামের সেই পাখির ডাক মিস করতে চাই না।