করোনার পর শ্রমজীবীদের অসুস্থতা বেড়েছে : আইএলও

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা-পরবর্তী শ্রমবাজারে যারা পুনরায় প্রবেশ করছে, তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আগের সমপরিমাণ সময় কাজ করতে পারছে না এবং তাদের অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে গেছে। ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘বৈশ্বিক কর্মসংস্থান ও সামাজিক আভাস প্রবণতা ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, মহামারির অভিঘাত এখনো শ্রমবাজারে অনুভূত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী তরুণদের বেকারত্বের হার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই থেকে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে নেই, এমন মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক বেশি, বিশেষ করে তরুণ নারীদের মধ্যে। তবে মহামারির পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার ২৯.২ শতাংশ থেকে ৪২.৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব শ্রেণির মানুষের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার প্রাক-মহামারি পর্যায়ে একই হারে ফেরত যাবে না বরং এ ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকবে।

তবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এর পরও নারী-পুরুষের ব্যবধান থেকে যাচ্ছে, বিশেষ করে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের জন্য এসব বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে। আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন বলেন, ‘শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ হ্রাস এবং শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণে নারী ও মেয়েদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নারীদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখন আমাদের যেটা করতে হবে, তা হলো নারী, তরুণ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতার উন্নয়ন করে তাদের শ্রমবাজারে সমানভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।’ মহামারি-পরবর্তী শ্রমবাজারে যারা পুনরায় প্রবেশ করছে, তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আগের সমপরিমাণ সময় কাজ করতে পারছে না এবং তাদের অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে গেছে। আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বেকারত্বের হার বাড়বে এবং ক্রমবর্ধমান সামাজিক বৈষম্যের কারণে বাড়বে উদ্বেগ। যদিও ২০২৩ সালে বিশ্বে বেকারত্বের হার কিছুটা কমেছিল। ২০২২ সালে যা ছিল ৫.৩ শতাংশ, তা ২০২৩ সালে ৫.১ শতাংশে নেমে আসে।