পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী রমজানে বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেছেন, রমজানকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এটি ধর্মীয় বা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। গতকাল সোমবার শিল্পভবনে তার কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সাক্ষাতে এলে এ আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী। সাক্ষাতে ডিসিসিআই নবনির্বাচিত সভাপতি আশরাফ আহমেদের নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে অন্যদের মধ্যে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আনোয়ারুল আলম উপস্থিত ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টি মোকাবিলায় আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি যথাযথ বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য। সারাদেশে বিসিকের অব্যবহৃত প্লটগুলোতে শিল্পকারাখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান এবং শিল্প মন্ত্রণালয় হতে এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, বাজার সম্প্রসারণ, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ পিপিপি মডেলের ভিত্তিতে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অবকাঠামাসহ অন্যান্য পরিসেবার উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং সারাদেশে বিসিকের শিল্প এলাকার অব্যবহৃত প্লটগুলোর অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমাদের রপ্তানি পণ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্পনীতি, শ্রমনীতি, আমদানি-রপ্তানি-নীতি এবং পরিবেশ সুরক্ষাবিষয়ক নীতিমালাগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নীতি সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য।